ইউরোপ ছাড়লে ব্রিটেন ঝুকিতে পড়বেঃ ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী

Spread the love

fallonবাংলা সংলাপ ডেস্কঃ ব্রিটেন যদি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে আসে তাহলে বিশাল ঝুঁকিতে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মত দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফ্যালোন। তার মতে, ইইউ য়ে সব দেশ একে অপরের সঙ্গে থেকে সম্মিলিত শক্তি দিয়ে বিশ্বের হুমকি সহজে মোকাবেলা করতে পারে। ইইউ ছেড়ে বেরিয়ে গেলে এই প্রতিরোধ ভেঙে পড়বে। তিনি কেবিনেট মন্ত্রী আয়ান ডানক্যান স্মিথের ‘ইইউ’য়ে থাকলে ব্রিটেন সন্ত্রাসের ঝুঁকিতে বাড়বে’ এমন বক্তব্য নাকচ করে বিবিসি’র রেডিও ফোর’স টুডে কে বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, নেটো কিংবা জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বে থেকে ব্রিটেন উপকৃত হয়।
রোববার যুক্তরাজ্যের কর্ম ও পেনশন মন্ত্রী ডানক্যান স্মিথ বলেছিলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকলে যুক্তরাজ্যে প্যারিস-ধাঁচের সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি বাড়বে। ইউরোপের খোলা সীমান্ত দিয়ে শরণার্থীরা ব্রিটেনে প্রবেশ করে হামলার পট প্রস্তুত করতে পারে বলে সতর্ক করেছিলেন তিনি। কিন্তু তার এ যুক্তি নাকচ করে ফ্যালোন বলেন, “এ মুহূর্তে আমাদের প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা নির্ভর করছে নেটোর ওপর। ইইউ এর ওপর নয়। তবে ইইউ ও আমাদের নিরাপত্তায় বাড়তি সহায়তা দিচ্ছে… নেটো যা করতে পারে না তা ইইউ পারে।”
“ইইউ য়ের সঙ্গে মিলেমিশেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করা যায়। রাশিয়ার আগ্রাসন কিংবা সন্ত্রাস রুখে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে আমাদের ইইউ’য়ের সম্মিলিত শক্তির প্রয়োজন। আর এরজন্য বৃহত্তর অংশীদারিত্বের মধ্যে থাকাটাই জরুরি।”
ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যুক্তরাজ্যের থাকা না থাকার প্রশ্নে আগামী ২৩ জুন গণভোট ডেকেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। কিন্তু মন্ত্রীরা ইইউ’য়ের পক্ষ-বিপক্ষ দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। ইইউয়ে থাকার পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। যুক্তরাজ্যের ইইউয়ে থাকার পক্ষে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। এমপিদের সামনে বিষয়টি নিয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করারও কথা রয়েছে ক্যামেরনের।
কিন্তু এরই মধ্যে লন্ডনের মেয়র বরিস জনসন ইইউ ত্যাগের পক্ষে প্রচারে নেমে পড়ায় হোচট খাচ্ছে ক্যামেরনের ইইউ’য়ে থাকার পক্ষের প্রচারাভিযান। জনসনের প্রচারের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফ্যালোন বলেন, লন্ডনের মেয়রের কাছ থেকে ‘আরও সমর্থনই’ হয়ত প্রধানমন্ত্রী আশা করেছিলেন। তবে তার একটা ‘ব্যক্তিগত মতামত’ আছে। আর বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, কেবিনেটের বেশিরভাগ সদস্যই ক্যামেরনের মতই সমর্থন করছেন।

 


Spread the love

Leave a Reply