ঈদের দিন যুক্তরাজ্যে সরকারি ছুটি ঘোষণা নিয়ে পার্লামেন্টে বিতর্ক

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্কঃযুক্তরাজ্যে ঈদকে সরকারি ছুটি ঘোষণা নিয়ে আবারও আলোচনা হলো দেশটির পার্লামেন্টে। সোমবার পার্লামেন্ট সদস্যরা এই বিষয়টি উত্থাপন করেন। মূলত পার্লামেন্টের ওয়েবসাইটে ই-পিটিশনের মাধ্যম এই দাবি তোলা হয়। ঈদকে সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়ে সেখানে ৪৬ হাজার ৫০০ জন স্বাক্ষর করেন। আর হিন্দু উৎসব দীপাবলিকে ছুটির দাবি জানিয়ে স্বাক্ষর করেন ১১ হাজার ৭০০ জন।

স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির এমপি ও পার্লামেনট পিটিশন কমিটির সদস্য মার্টিন ডে বলেন, এটা বলা যেতেই পারে যে এই আবেদন খুবই জরুরি। ধর্মীয় উৎসবগুলোকে ছুটির দিন হিসেবে চাওয়াটা যৌক্তিক।

তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যে খ্রিস্টান ধর্মের পর মুসলিম ও হিন্দু ধর্মালম্বীদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। খ্রিস্টানরা বড়দিন ও ইস্টার সানডেতে ছুটি পায়। তাই অন্যান্য ধর্মালম্বীদেরও ধর্মীয় উৎসবে ছুটি থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ।

এই ইস্যুতে অনেকদিন ধরে প্রচারণা চালানো কনজার্ভেটিভ পার্টির এমপি বব ব্ল্যাকম্যান বলেন, রমজান মাসের শেষে মুসলিমরা ক্লান্ত থাকেন। এছাড়া সেদিনের নামাজও তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, সেদিন কেন সরকারি ছুটি হবে না। বিশেষ করে আমাদের দেশে এত মুসলিম থাকারও পরেও।

ওয়েস্টমিনস্টার হলে এর আগে ২০১৪৩ সালেও এই বিষয় নিয়ে একবার বিতর্ক হয়েছিলো। তখন এই দাবি মানেনি সরকার। তাদের যুক্তি ছিলো, বেশি সরকারি ছুটি দিলে দেশটির অর্থনীতি ‍‘উল্লেখযোগ্য’ ক্ষতির মুখে পড়বে।

ব্রিটিশ সরকারের বাণিজ্য, জ্বালানি ও শিল্প কৌশল দফতরের মন্ত্রী কেলি তোলহার্স্ট বলেন, ‘ছুটির দিনে উল্লেখযোগ্য হারে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়। রানী এলিজাবেথের শাসনের হীরক জয়ন্তী উপলক্ষ্যে ছুটিতে কর্মীদের পেছনে খরচ হয়েছে ১২০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড।

তিনি আরও বলেন, যেই ছুটির দিনের কথা প্রস্তাব করা হয়েছে সেটার ক্ষতি কিছুটা কম হতে পারে। কারণ এক্ষেত্রে পর্যটন ও অবসরের ওপর কেন্দ্র করে বাণিজ্য জড়িত। তবে ঈদ কিংবা দীপাবলিতে পর্যটন শিল্প লাভবান হবে তেমনটা আশা করা যায় না।’


Spread the love

Leave a Reply