ওবামার বিরুদ্ধে ভন্ডামির অভিযোগ লন্ডন মেয়রের

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্ক:

যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) থাকার পক্ষে মত দেওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বিরুদ্ধে ভন্ডামির অভিযোগ তুলেছেন লন্ডনের মেয়র বোরিস জনসন। শনিবার তিনি অভিযোগ করেন, নিজেরা যা স্বপ্নেও ভাবেন না, সেটিই তাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছেন মার্কিনিরা।

ব্রিটেনের ইইউ ত্যাগের অন্যতম উদ্যোক্তা কনজার্ভেটিভ পার্টির নেতা বরিস। অন্যদিকে, ওবামা আগেই যুক্তরাজ্যের ইইউয়ে থাকার পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন। আগামী সপ্তাহে তিনি যুক্তরাজ্য সফরে আসবেন। তখন আবার তিনি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করবেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। হোয়াইট হাউস ইঙ্গিত দিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ওবামা ইইউ নিয়ে তার মতামত জানাতে প্রস্তুত। কিন্তু যুক্তরাজ্যের ভোটারদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাবেন তিনি। আগামী ২৩ জুন ইইউয়ে থাকা না-থাকা নিয়ে যুক্তরাজ্যে গণভোট হবে। এক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ওবামার সমর্থন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে ইইউয়ের পক্ষে ভোটারদের প্রভাবিত করতে উৎসাহিত করবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি-র সঙ্গে কথোপকথনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথা জিজ্ঞেস করা হলে জনসন বলেন, আমি জানি না তিনি এখানে এসে কী বলবেন। তবে যদি মার্কিন যুক্তি ইইউ-তে থাকার পক্ষেই হয়, তাহলে এটি হবে ভণ্ডামিপূর্ণ। মার্কিনিরা এটি স্বপ্নেও ভাবেন না।

বরিস  বলেন, আমি মনে করি, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নিজের মতো করেই তার মত প্রকাশ করতে পারেন। আমি এই বিতর্কে সবার মতকেই স্বাগত জানাই। তবে আমার কাছে এটা উদ্ভট মনে হয় যে, একজন মার্কিনি আমাদের সার্বভৌমত্ব নিয়ে উপদেশ দিচ্ছেন। যেখানে মার্কিনিরা এমনকি সাগর নিয়ন্ত্রণের আন্তর্জাতিক আইনেও স্বাক্ষর করেনি। জনসন বলেন, মার্কিনিদের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় যে, তারা কখনওই নিজেদের সার্বভৌমত্ব অন্য কারও সঙ্গে ভাগাভাগি করেনি, এখনও করবে না।

লন্ডন মেয়র আরো বলেন, আমি মনে করি, যেখানে ইচ্ছা হস্তক্ষেপের অধিকার আছে প্রেসিডেন্ট ওবামার। তবে এক্ষেত্রে সবার মতামতকে স্বাগত জানাই আমি। আমেরিকানরা আমাদের সার্বভৌমত্ব বিলিয়ে দিতে, আমাদের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিতে বক্তব্য দেয়, যা আমার কাছে ভুতুড়ে মনে হয়।

বোরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের উদ্দেশে বলেন, গণভোটে যুক্তরাজ্যের ইইউ ছাড়ার পক্ষে বিজয় হলেও ক্যামেরনই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। তবে তিনি এ-ও বলেন, ইইউ ছাড়লে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ও রাজনীতি আরো গণতান্ত্রিক হবে এবং ব্রাসেলসের অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থেকে মুক্তি পাবে। মুক্ত বাণিজ্যে যুক্তরাজ্য নিজেই আন্তর্জাতিক চুক্তি করতে পারবে।


Spread the love

Leave a Reply