ওস্তানাবাসীর স্বপ্নপূরণ: ২৮ বছর পর দেখা মিলল নবজাতকের

Spread the love

পাহাড়রে পাদদেশে ছোট শহর ওস্তানা
পাহাড়রে পাদদেশে ছোট শহর ওস্তানা

বাংলা সংলাপ ডেস্ক

ইতালির উত্তারাঞ্চলীয় ছোট শহর ওস্তানায় ১৯৮০ সালের পর এই প্রথম কোনো নবজাতকের জন্ম হয়েছে। নবজাতকের এই জন্মকে বেশ উৎসাহ নিয়ে উদ্‌যাপন করছেন পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওস্তানা শহরের বাসিন্দারা। কারণ গত ২৮ বছর ধরে এই তারা কোনো নবজাতকের আগমনী কান্না শোনেননি।

ইতালির পিডমন্ট অঞ্চলের পাহাড়ি এলাকার জন্য সন্তান জন্ম নেওয়ার এই ঘটনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নবজাতকের এই জন্মকে ছোট্ট ওই শহরবাসীর জন্য স্বপ্ন সত্যি হয়েছে বলে আখ্যা দিয়েছেন ওস্তানা পৌরসভার মেয়র। গত ১০০ বছর ধরে ওই শহরে জনসংখ্যা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেয়েছে।

নবজাতকটির নাম রাখা হয়েছে পাবলো। ইতালির তুরিন হাসপাতালে পাবলোর জন্ম হয় ২৩ জানুয়ারি। ইতালির লা স্টাম্পা পত্রিকার বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, পাবলোর জন্মের পর ওই শহরের মোট জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫ জন। তবে এই জনসংখ্যার মাত্র অর্ধেক ওই শহরে বসবাস করে।

ওস্তানার মেয়র গিয়াকোমো লুম্বার্ডো বলেন, ১৯০০ সালের শুরুর দিকে ওস্তানা শহরকে ১০০০ জন বাসিন্দার শহর বলা হতো। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর থেকেই এখানে জন্মহার কমতে থাকে। আর ১৯৭৫ সাল থেকে জন্মহার একেবারে কমে যায়। যে কারণে ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত মাত্র ১৭টি শিশু জন্ম নিয়েছে। তারপরের ইতিহাস আরো ভয়াবহ, কারণ ১৯৮৭ সালের পর আর কোনো শিশু জন্মায়নি এই শহরে। গত সপ্তাহে জন্মাল পাবলো।

নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে ওস্তানা শহরের জনশূন্যতার এই প্রবণতা দূর করতে প্রাথমিকভাবে চেষ্টা চলছে। পাঁচ বছর আগে পাবলোর মা-বাবা সিলভিয়া ও হোসের পরিকল্পনা ছিল বিদেশ চলে যাওয়ার। কিন্তু তাদেরকে যখন শহরের নিকটবর্তী এক পাহাড়ে আবাসনের সুবিধা দেওয়া হলো তখন তারা এখানে থেকে গেলেন। আর তাদের হাত ধরেই ২৮ বছর পর আনন্দে ভাসল ওস্তানাবাসী।


Spread the love

Leave a Reply