গাঁজা নজরদারিতে ব্রিটিশ পুলিশের ‘অপচয়’ ১০ লাখ ঘণ্টা

Spread the love

880c3f44c1edda1821de018e9d89747a-5919e1cc32fb6বাংলা সংলাপ ডেস্কঃযুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ গাঁজা সেবন বন্ধ ও ব্যবসায় নজরদারি চালাতে দেশটির পুলিশের ১০ লাখ ঘণ্টা কর্ম সময় অপচয় হয়েছে। আর প্রতিটি গাঁজার মামলার পেছনে খরচ হচ্ছে জনগণের করের অর্থ থেকে ৩১ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড। এ দাবি করেছেন দেশটির লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা। তারা মনে করেন, গাঁজা সহজলভ্য ও ব্যাপক হারে সেবন করা হচ্ছে। ফলে এটা নিষিদ্ধ করার কোনও অর্থ হয় না। বরং গাঁজাকে বৈধ করে সরকারি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। আর গাঁজার নজরদারির অর্থ শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে ব্যয় করার সুযোগ তৈরি হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্ট এর এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের এক গবেষণায় দেখা যায়, ২০১৫ সালের পর থেকে গাঁজার জন্য ৮৭ হাজার ২৪৭টি মামলা হয়েছে।আর এতগুলো মামলার পেছনে পুলিশের ব্যয় হয়েছে ৩১ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড। আর গাঁজা সংশ্লিষ্ট প্রতিটি মামলার জন্য ব্রিটিশদের করের অর্থ থেকে খরচ হয় ২ হাজার ২৫৬। এই সময়ে গাঁজার নজরদারিতে দেশটির পুলিশের ব্যয় হয়েছে ১০ লাখ ৪৪ লাখ ঘণ্টা।

ডেমোক্র্যাটদের দাবি, এই মাদক খুবই ‘সহজলভ্য’ হয়ে পড়েছে এবং ‘স্বাধীনভাবে’ সবাই ব্যবহার করছে। ফলে গাঁজাকে অবৈধ ও নিষিদ্ধ করার কোনও মানে হয় না। শুক্রবার তারা ঘোষণা দিয়েছে, গাঁজাকে বৈধ করার জন্য তারা চেষ্টা করবেন।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু অঙ্গরাজ্যে গাঁজা সেবন বৈধ। সম্প্রতি কানাডাও গাঁজা সেবনকে বৈধতা দিয়েছে।

যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী, গাঁজা দ্বিতীয় শ্রেণির মাদক। কেউ এটা সেবন করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল হতে পারে। ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ড হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এই সর্বোচ্চ শাস্তির খুব একটা প্রয়োগ নেই বললেই চলে।

যুক্তরাজ্যের হোম অ্যাফেয়ার্স সিলেক্ট কমিটি সদস্য জুলিয়ান হুপার্ট বলেন, ‘গাঁজা এখন খুবই সহজলভ্য ও অনেকেই ব্যবহার করে। এতে করে উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেয়। বিপরীতে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র প্রচুর মুনাফা করে। এই পরিস্থিতি তরুণ প্রজন্মের জন্য ভয়াবহ। এই তরুণরা এই মাদক সেবনের ফলে মানসিক ও স্বাস্থ্যগত সমস্যায় পড়ছে। এখানে বয়সের কোনও বাছ-বিচার নেই, এমনকি মান ও ক্ষমতারও কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। মাত্র ২০ পাউন্ডের একটি নোট থাকলেই পাওয়া যাচ্ছে। ’

হুপার্ট আরও বলেন, ‘সব সরকারই জনগণের স্বাস্থ্য ও অপরাধের আশঙ্কার কথা বিবেচরা করে এটি নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু আসল কাজ হলো এই পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নেওয়া। লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা এই মাদককে বৈধ করে তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করবে। তারা অপরাধী চক্রের হাত থেকে গাঁজার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণমুক্ত করবে।’

হুপার্ট জানান, লিবারেলরা ১৮ বছরের কম বয়সীদের জন্য এটি নিষিদ্ধ থাকবে। তিনি বলেন, আমরা টিএইচসির মাত্রা কমিয়ে একে কম ক্ষতিকর রাখার চেষ্টা করব। আর জনগণের করের টাকা থেকে শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে ১ বিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ করা হবে। সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট


Spread the love

Leave a Reply