গোয়াইনঘাট থানার ওসি জলিলের উপ-টোকন ফিরিয়ে দিলেন মন্ত্রী ইমরান আহমদ

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ বর্তমান সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ এম.পিকে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল জলিল কর্তৃক পাঠানো ট্রাক ভর্তি উপ-টোকনে যাহা ছিল সময়ের ব্যাবধানে বেরিয়ে এলো তলের বিড়াল।

জানা যায় বিগত ১৪ই জানুয়ারী গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি। সরকারী ভাবে সংক্ষিপ্ত সফরে নিজ নির্বাচনী এলাকা সিলেট-৪ (জৈন্তাপুর,কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট) উপজেলায় আসেন প্রতিমন্ত্রী। নির্বাচনী এলাকার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচীতে যোগদেন প্রতিমন্ত্রী মহোদয় এছাড়া বিভিন্ন সরকারি/বেসরকারী দপ্তর সমুহ পরিদর্শন শেষে জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুরস্থ নিজ বাংলায় রাত্রী যাপন করেন। প্রতিমন্ত্রী এলাকায় থাকবেন শুনে ১৬ জানুয়ারী দিবাগত রাতে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল জলিল মন্ত্রীর জন্য সকল প্রকার খাধ্যসামগ্রীর বাজার সেরে পিকআপ ট্রাকে তুলে নিজেই প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ’র বাংলোয় পৌছে দেন। ঐসময় গভীর রাত হওয়ার কারণে উপ টোকেন গুলি মন্ত্রীর বাসার উঠানেই থেকে যায়। ভোঁরে প্রতিমন্ত্রী ঘুম থেকে উঠে বাসার সামনে ছোট্র একটি পিকআপ ভ্যান দেখতে পেলে তার পি.এস কে জিজ্ঞেস করলেন এগুলি কি ? কে পাঠিয়েছে ? উত্তরে মন্ত্রীর পিএস জানান, রাতে গোয়াইনঘাট থানার ওসি আব্দুল জলিল আপনার জন্য এগুলো পাঠিয়েছে। একপর্যায় ক্ষুব্ধ হয়েই মন্ত্রী মহোদয় নিজেই উপ-টোকেন ভর্তি পিকআপ ভ্যানটিতে নিজের জন্য বাজারের সব চেয়ে বড় বড় মাছ, মাংস, দেশীয় মোরগ সহ বিভিন ধরনের সব্জি গাড়ীতে দেখেন। এসব দেখে প্রতিমন্ত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে পিকআপ বোঝাই মালামাল ফেরৎ নিতে ওসি গোয়াইনঘাটকে বলেন। এদিকে মন্ত্রীর বাংলোয় ওসির দেওয়া উপহারের খবর গোটা উপজেলায় মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে সিলেট বিভাগ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এমন খরব। পর্যায়ক্রমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুসহ বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক সংবাদ পত্রে নানা ভাবে উপস্থাপন হয়।

অনুসন্ধানে জানাযায়, মন্ত্রীমহোদয় পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শন শেষে এলাকাবাসীর সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাৎ শেষে তিনি বলেন- জাফলংয়ের পরিবেশ ধরে রাখতে কোয়ারীতে বোমা মেশিন ব্যবহার বন্ধ রাখার কড়া হুসিয়ারী দেন। এদিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার দুটি পাথর কোয়ারী দির্ঘ দিন থেকে বন্ধ থাকার কারনে এলাকার খেটে খাওয়া সাধারণ শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছিল। সবার মনে ভাবনা ছিল জাতীয় নির্বাচন শেষে পাথর কোয়ারীর সকল সমস্যা নিরসন হবে। পাথর খেকু আর ব্যাবসায়ীদের মাঝে উৎফুল্লতার আমেজ বিরাজ করছিল। কিন্তু মন্ত্রীর কড়া হুসিয়ারীতে বিপাকে পড়ে পাথর খেকু চক্র। এই সুযেগে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল জলিলও পড়ে যান বেকায়দায়। তিনি দুটি পাথর কোয়ারী বিছনাকান্দি ও জাফলং হতে দৈনিক উৎকোচ আর বেপরোয়া চাদাঁ আদায় করতে নিজেই (আব্দুল জলিল) মন্ত্রীর বাসায় পিকআপ (ট্রাক) ভর্তি উপ-টোকন পাঠিয়ে দেন। এদিকে উপটোকনের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে সাধারন মানুষসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সুশিল সমাজ বলে ওসি জলিল একজন দূর্নীতিবাজ অফিসার হিসাবে প্রতিমন্ত্রীর নিজ থানা জৈন্তাপুর হতে ষ্ট্যান্ড রিলিজের মাধ্যমে এর আগেও সরানো হয়েছিল। পরবর্তীতে ওসি জলিল নানা কুট কৌশলে পাশ্ববর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাট থানায় আনন্দের সাথে দায়িত্বভার গ্রহন করেন। দায়িত্ব ভারের মূল টার্গেট ছিল বিছনাকান্দী ও জাফলং পাথর কোয়ারী। তাই তিনি সিলেট ৪ আসনের ৬বারের নির্বাচিত, সৎ, পরিশ্রমী, গুনিজন, সর্বমহলে প্রসংশিত ও আপদমস্থক নিষ্ঠাবান প্রতিমন্ত্রী কে অপদস্থ করতে এবং নিজের ফায়দা হাসিল করতে তিনিই প্রতিমন্ত্রীকে এমন উপহার সামগ্রী প্রেরন করেন। জানা গেছে শ্রীমংগলে দায়িত্বে থাকাকালিন সময় ওসি জলিল সেখানকার সাংবাদিক সহ নিরীহ মানুষদের হয়রানী করায় সরকার তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে অন্যত বদলী করে দেয় ।

উপ-টোকনের ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল জলিল’র সাথে মোঠো ফোনে জানতে চাইলে ফোন রিসিভিড করেননি।

অপর দিকে এ ঘটনায় ক্ষোব্ধ এলাকাবাসী ওসি আব্দুল জলিলের তড়িৎগতিতে অপসারণের জোর দাবি জানিয়েছেন।


Spread the love

Leave a Reply