ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে তোলপাড়!

Spread the love

darবাংলা সংলাপ ডেস্কঃযুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব দিয়ে বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ধর্ষণের অভিযোগ এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে।

সাবেক স্ত্রী ইভানাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। ১৯৯২ সালে ট্রাম্প ও ইভানার বিচ্ছেদের সময় এই জঘন্য অভিযোগ উঠে।

গতকাল সোমবার চ্যানেল-৪ এর একটি ডকুমেন্টরিতে এমনই দাবি করা হয়েছে।

ডকুমেন্টরির বরাত দিয়ে সান পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ হয় ১৯৮৯ সালে। ট্রাম্পের আত্মজীবনীকার হ্যারি হার্ট চ্যানেল-৪ কে এই চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছেন। চেক বংশোদ্ভূত ইভানা ও ট্রাম্প ১৯৭৭ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

হারি হার্ট বলেছেন, এক রাতে ট্রাম্প ঘরে আসেন। তখন তিনি অনেক রাগান্বিত ছিলেন। এসময় তিনি ইভানার চুল ধরে টানাটানি শুরু করেন। এরপরেই ইভানা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করে। ইভানা তার জবানবন্দিতে শপথ করে বলেছিলেন- ‘ট্রাম্প আমাকে ধর্ষণ করেছে’।

হ্যারি আরও বলেন, এ ঘটনায় ইভানা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন এবং দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে মায়ের কক্ষে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। সেখানে তিনি সারারাত কান্না করেন।

ইভানার বরাত দিয়ে হ্যারি বলেন, পরদিন সকালে ইভানা তার ঘরে এসে ট্রাম্পকে বসে থাকতে দেখেন। একটু পরেই ট্রাম্প ঘর থেকে বেরিয়ে যান।

তিন সন্তানের মা ইভানা (৬৬) ১৯৯৩ সালে দাবি করেন, আমি ওই ঘটনাকে ধর্ষণের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত করছি।

কিন্তু আমি চাইনা আমার ওই কথাকে আক্ষরিক অর্থে বা অপরাধ দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করা হোক। রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্প যদিও এর আগে ইভানার দাবিকে অস্বীকার করেছিলেন।

গত বছর ট্রাম্পের আইনজীবী মিশায়েল বলেছিলেন, ট্রাম্প কাউকে ধর্ষণ করেননি। কেউ তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করতে পারে না বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্পের আইনজীবী।

তিনি আরো বলেন, ইভানা আবেগপ্রবণ হয়ে এটাকে ধর্ষণ বলেছেন। ইভানা নিজেই ওই ঘটনাকে অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করেন নাই।
সাবেক সংবাদ উপস্থাপিকা সেলিনা স্কট দাবি করে বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ডকুমেন্টরি তৈরির পর ইভানার পেছনে ছায়ার মতো লেগে থাকতেন।

ইভানাকে মানসিকভাবে আঘাত করার জন্যই এমনটা করতেন। শুধু তাই নয়, ইভানাকে অপমান করে ১৩টি চিঠিও দিয়েছিলেন ট্রাম্প।


Spread the love

Leave a Reply