ট্রাম্পের বৃটেনে প্রবেশ নিয়ে পার্লামেন্টে তুমুল বিতর্ক

Spread the love

041515-trampবাংলা সংলাপ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান পার্টি রাষ্ট্রপতির মনোনয়ন প্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে ব্রিটেনের পার্লামেন্ট হাউজ অব কমন্সে তুমুল বিতর্ক হচ্ছে। ট্রাম্প ব্রিটেন সফর করতে আসছেন। তাকে ব্রিটিশ সরকার দেশটিতে প্রবেশ করতে দেবেন কিনা। এ নিয়ে বিতর্ক।

লেবার দলের এক এমপি বলেন, ট্রাম্পকে ব্রিটেন প্রবেশ করতে না দেয়া হবে তাকে শহীদের মর্যাদা দেয়া। পল ফ্লেইন নামের একজন সাংসদ বলেন, ট্রাম্প মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়েছেন যা চরমভাবে বিপজ্জনক কিন্তু তাকে ইউকে প্রবেশে বাধা দেয়া আমাদের আমেরিকান বিদ্বেষী হিসাবে দেখাবে।

এসএনপি দলের এমপি তাসমিনা আহমেদ শেখ বলেন, ট্রাম্পের ব্রিটেন প্রবেশে বাধা যুক্তিসঙ্গত হতে পারে ধর্মীয় কারণে। ধর্মীয় ঐক্য বিনষ্টের কারণে ট্রাম্পকে ব্রিটেন প্রবেশে বাধা দেয়া যেতে পারে।

এদিকের ট্রাম্পের ব্রিটেন প্রবেশে বাধা দেয়ার পক্ষে ৫ লক্ষ ৭৪ হাজার লোকের স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়েছে। ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেমন ব্রোকেনশায়ার বলেন, ব্রিটেন সরকারের ক্ষমতা আছে ক্ষতির জন্য কাকে সে বাদ দিবে। তবে এটা আমাদের মনে রাখতে হবে যুক্তরাষ্ট্র ব্রিটেনের গুরুত্বপূর্ণ জোট সঙ্গী। ব্রিটেনের উচিত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন প্রত্যাশী সকলের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা। হতে পারে এদের কারো কারো মতাদর্শ আমাদের থেকে ভিন্ন। রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প ক্যালিফোর্নিয়ার সান বারনারদিনোর গুলির ঘটনায় ১৪ জন নিহত হলে এ ধরনের মন্তব্য করেন।

ট্রাম্পের মন্তব্যের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ভিতরে বাইরে সব খানে সমালোচনা হয়েছে। ট্রাম্পের নিন্দা করা হয়েছে। ট্রাম্প বিতর্কে আরও বলা হয়, ব্রিটেন সরকার এর আগে বহুবার অনেক ব্যক্তিকে ঘৃণা ও বিদ্বেষ মূলক বক্তব্যর কারণে যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে বাধা দিয়েছে। এখন সময় এসেছে এ বিধান ধনী ও গরীবের মাঝে সমান ভাবে প্রয়োগ করার।

পার্লামেন্টে ট্রাম্পের পক্ষেও স্বাক্ষরযুক্ত পিটিশন দাখিল করা হয়।সেখানে বলা হয় কারো দেশের অভ্যন্তরীণ মতামতের জন্য কাউকে নিষিদ্ধ করা উচিত নয়। এতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউকে সম্পর্ক নষ্ট হবে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের আগামী নির্বাচনে ট্রাম্পের বিজয়ী হবার সম্ভাবনা রয়েছে।

ব্রিটিশ সাংসদ ফ্লেইন বলেন, ট্রাম্পকে ব্রিটেনে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এই মতের পক্ষের বহু মানুষের জোরাল দাবি রয়েছে। আর এখানে আমেরিকার সম্মান নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে না। বিতর্ক হচ্ছে ব্যক্তি বিশেষের বক্তব্য নিয়ে।


Spread the love

Leave a Reply