ট্রাম্পের যুক্তরাজ্যে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার দাবি টিউলিপের, ক্যামেরনের দ্বিমত
বাংলা সংলাপ ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাজ্যে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়েছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে লেবার পার্টির সংসদ সদস্য টিউলিপ সিদ্দিক। তবে ট্রাম্পের বক্তব্যের সমালোচনা করলেও নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।
বারবার মুসলিমবিদ্বেষী মন্তব্য করা ট্রাম্পকে যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধের দাবি সংক্রান্ত একটি পিটিশনের ব্যাপারে বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিতর্কের সময় টিউলিপ তার বক্তব্য তুলে ধরেন।
যুক্তরাজ্যের বিরাজমান বর্নবাদবিরোধী আইনের প্রসঙ্গ টেনে এই বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য যুক্তরাজ্যে ট্রাম্পকে নিষিদ্ধের দাবি জানান টিউলিপ। তিনি বলেন, জনগণের ভালো যারা চান না, তাদের প্রবেশ নিষিদ্ধের ব্যাপারে আমাদের দেশে আইন আছে। প্রধানমন্ত্রী কি সবার জন্য এই আইন সমানভাবে প্রয়োগে রাজি আছেন? নাকি ধণাঢ্য রাজনীতিকদের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কিছু করা কি আমাদের উচিত হবে?
জবাবে ক্যামেরন বলেন, আমি তার (টিউলিপ)সঙ্গে একমত। ট্রাম্পের মন্তব্য শুধু বিভেদ সৃষ্টিকারীই নয়, একইসঙ্গে অর্থহীন (স্টুপিড) এবং ভুলও। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যাপারে আমি একমত হতে পারছি না। এটা ঠিক যে আমরা বিভেদ সৃষ্টিকারী এবং উগ্রপন্থাকে উস্কে দেয় এমন কাউকে সমর্থন করিন। তবে বৈষম্য মোকাবেলায় আরও অনেক কিছু করার আছে।
১৩ নভেম্বর প্যারিসে হামলায় ১৩০ জন ও ২ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের সান বার্নার্ডিনো শহরের প্রতিবন্ধী সেবা কেন্দ্রে বন্দুকধারীদের হামলায় ১৪ জন নিহত হওয়ার পর ট্রাম্প নির্বাচনী এক প্রচারে বলেন, আমেরিকানদের প্রতি মুসলমানদের ‘ঘৃণা’ পুরো জাতিকেই ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারে। তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের প্রতিনিধিরা নিশ্চিত না হন আসলে কি ঘটছে, ততক্ষণ পর্যন্ত মুসলমানদের জন্য সীমান্ত বন্ধ রাখা উচিত। সম্প্রতি উন্মুক্ত বিতর্কেও বিতর্কিত মন্তব্য পুন:ব্যক্ত করেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পকে যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধে একটি পিটিশনে ৫ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি ব্রিটিশ নাগরিক স্বাক্ষরের ওপর পার্লামেন্টে বিতর্ক হয়। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তৃতার পর টেলিভিশন চ্যানেল `নিউজ ফোর` এর সঙ্গেও এ নিয়ে নিজের অবস্থান পরিস্কার করেন টিউলিপ সিদ্দিক।
