পারলো না আর্জেন্টিনা, কোয়ার্টারে ফ্রান্স

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ পারলো না আর্জেন্টিনা। পারলো না মেসি। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ম্যাচে ৪-৩ গোলের জয় পেল ফ্রান্স। প্রতি মুহুর্তে খেলার রং পরিবর্তন হওয়া ম্যাচে জোড়া গোল করেন ফান্সের এমবাপে। একবার করে জালে বল জড়ান গ্রিজম্যান ও পাবার্ড। আর্জেন্টিনার পক্ষে গোল তিনটি করেন ডি মারিয়া, মার্কাদো ও আগুয়েরো।এক এক গোলের সমতায় শেষ হয়েছিল প্রথমার্ধের খেলা।

আজকের ফ্রান্স বনাম আর্জেন্টিনার ম্যাচের প্রতি মুহুর্তের বর্ণনা:

৩ মিনিট
বল পায়ে আগুয়ান মেসিকে ফাউল করে। ফাউল থেকে পাওয়া ফ্রি কিকে গোল করতে ব্যর্থ আর্জেন্টিনা।

৫ মিনিট
বা প্রান্ত দিয়ে বল পায়ে ফ্রান্সের ডি বক্সে ঢুকে পড়েন অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া। তবে ডি মারিয়ার শট বারের বাইরে যায়।

৭ মিনিট
বড় মিস ফ্রান্সের। ডি বক্সের মাথায় ফাউল থেকে ফ্রি কিক পায় ফ্রান্স। গ্রিজম্যানের শট আর্জেন্টিনার গোলবারে প্রতিহত হয়।

১০ মিনিট
আর্জেন্টিনার আক্রমণ থেকে পাল্টা আক্রমণে ফ্রান্সের এমবাপে গেলে ফাউলের শিকার হন তিনি। এই ফাউলে পেনাল্টি পায় ফ্রান্স।

১২ মিনিট
গোল। গ্রিজম্যানের শটে এগিয়ে গেল ফ্রান্স।

১৮ মিনিট
ফ্রি কিক পায় ফ্রান্স। হলুদ কার্ড দেখলো তালিয়া ফিকো।

১৯ মিনিট
পগবার শট বার উঁচিয়ে যায়।

২১ মিনিট
এভার বানেগার কর্নার থেকে সুযোগ পেলেও আর্জেন্টাইন আক্রমণ ভাগের খেলোয়াড়রা গোলে হেড নিতে ব্যর্থ হয়।

২৫ মিনিট
বাম প্রান্ত দিয়ে বল পায়ে আর্জেন্টিনার ছোট ডি বক্সে ঢুকে পড়েন গ্রিজম্যান। তবে গ্রিজম্যানের মাইনাস সহজেই ধরে ফেলেন গোলরক্ষক।

২৭ মিনিট
পরের মনিটেই বল পায়ে ফ্রান্সের ডি বক্সে ঢুকে পড়েন মার্কাদো। তার ক্রস মাঠের বাইরে যায়। এসময় হ্যান্ডবলের আবেদন করলেও তা নাকচ করে দেন রেফারি।

৩৬ মিনিট
আর্জেন্টিনার আক্রমন প্রতিহত করে ফ্রান্স। মেসি পড়ে গেলেও ফাউলের আবেদনে সাড়া দেননি রেফারি।

৩৮ মিনিট
গ্রিজম্যানের ক্রস থেকে মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হয় ফ্রান্সের খেলোয়াড়রা।

৪০ মিনিট
সমতায় ফিরলো আর্জেন্টিনা। ডি বক্সের বাইরে থেকে জোড়ালো শটে গোল আদায় করেন ডি মারিয়া।

৪৫ মিনিট
প্রথমার্ধের বিরতি

৪৭ মিনিট
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ২-১ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। মেসির নেয়া জোরালো শট মার্কাদোর পা ছুঁয়ে ফ্রান্সের জালে প্রবেশ করে।

৫৫ মিনিট
গোলের সম্ভাবনা তৈরি করেও গোল করতে ব্যর্থ হয় গ্রিজম্যান।

৫৬ মিনিট 
পাবার্ডের ডি বক্সের বাইর থেকে নেয়া জোরালো শট লাফিয়েও ধরতে ব্যর্থ হয় আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক। আবারো সমতায় ফিরলো ফ্রান্স। আর্জেন্টিনা ২-২ ফ্রান্স।

৬৩ মিনিট
ডি বক্সের ভিতরে জটলা থেকে এমবাপের শট খুঁজে নেয় আর্জেন্টিনার জাল। এগিয়ে গেল ফ্রান্স। ফ্রান্স ৩-২ আর্জেন্টিনা।

৬৭ মিনিট
আবারো এগিয়ে গেল ফ্রান্স, আবারো এমবাপে। এবারের স্কোরার এমবাপে। ডি বক্সের ভিতরের বল গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জড়ান জালে। ফ্রান্স ৪-২ আর্জেন্টিনা।

৮৪ মিনিট
গোল মুখে মেসির শট রুখে দিলেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক ফ্রাঙ্কো আরমানি।

৯২ মিনিট
খেলার ইনজুরি টাইমে আগুয়েরোর হেডে গোল ব্যবধান কমালো আর্জেন্টিনা। ফ্রান্স ৪-৩ আর্জেন্টিনা।

৯৫ মিনিট
গোলের সম্ভবনা তৈরি করেও পারলো না গোল করতে আর্জেন্টিনা। এবং রেফারির খেলা শেষের বাঁশি।

শুরু হল নক আউট পর্বের লড়াই। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি তারকায় ঠাসা দল ফ্রান্স ও মেসিতে বর্ণিল আর্জেন্টিনা। দুই দলেরই রয়েছে ইতিহাসের স্মরণীয় অধ্যায়। আর্জেন্টিনা ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালের চ্যাম্পিয়ন এবং ফ্রান্স ১৯৯৮’র চ্যাম্পিয়ন। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়, কাজানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ম্যাচটি। আগে বিশ্বকাপে ২ বারের দেখায় শতভাগ জয়ের রেকর্ড ছিল আর্জেন্টিনার। তবে তৃতীয় দেখায় থমকে গেল আর্জেন্টিনা।

ফ্রান্স প্রথম পর্বে দুই জয় ও এক ম্যাচ ড্রতে সাত পয়েন্ট নিয়ে পা রাখে দ্বিতীয় পর্বে। আর আর্জেন্টিনা এক জয়, এক ড্র ও এক হারে চার পয়েন্ট নিয়ে নাম লেখায় নক আউট পর্বে।


Spread the love

Leave a Reply