প্রিন্স ফিলিপ, ব্রিটিশ রাজতন্ত্রে যার পদবী ডিউক অফ এডিনবরা, জন্মেছিলেন গ্রিসের দ্বীপ কর্ফুতে ১০ই জুন ১৯২১ সালে। তার পরিবারের শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে রয়েছে ব্রিটেন, ডেনমার্ক, জার্মানি এবং রাশিয়ার রাজপরিবারগুলোর মধ্যে। প্রিন্স ফিলিপের শিক্ষজীবন শুরু হয় ফ্রান্সে, সেন্ট-ক্লাউডের ম্যাকজ্যানেট আমেরিকান স্কুলে। এই ছবিতে তাকে স্কুলের বন্ধুদের সাথে দেখা যাচ্ছে (বাঁ থেকে দ্বিতীয়)। সাত বছর বয়সে তিনি তার আত্মীয় লর্ড মাউন্টব্যাটেনের পরিবারের সাথে থাকার জন্য ইংল্যান্ডে চলে আসেন। এখানে তিনি সারে কাউন্টির এক প্রিপারেটরি স্কুলে ভর্তি হন। এরপর তিনি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কার্ট হানের স্থাপিত স্কটল্যান্ডের গর্ডনস্টুন বোর্ডিং স্কুলে চলে যান। এই স্কুলে খেলাধুলায় পারদর্শিতার জন্য তিনি সুনাম অর্জন করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রিন্স ফিলিপ রণতরী এইচএমএস ভ্যলিয়েন্টে মিডশিপম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং সরাসরি লড়াইয়ে অংশ নেন। গ্রিসের অদূরে যখন একটি ইতালিয়ান নৌবহর আটকা পড়েছিল, তখন প্রিন্স ফিলিপ সার্চলাইটের দায়িত্বে ছিলেন যার ফলে শত্রু জাহাজকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়। তার এই কাজ সামরিক বাহিনীতে প্রশংসা অর্জণ করে। প্রিন্সেস এলিজাবেথের সাথে তার বাগদানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে ১৯৪৭ সালের জুলাই মাসে। ১৯৫১ সালে একজন ফটোগ্রাফার ডিউক অফ এডিনবরার এই ছবিটি তোলেন। এখানে তাকে দেখা যাচ্ছে তুরস্কের মার্মারিস সৈকতে ওয়াটার স্কি থেকে ঝাঁপ দিতে। ব্রিটিশ নৌজাহাজ এইচএমএস ম্যাগপাইয়ের কমান্ডার হিসেবে এটি ছিল তার শেষ পোস্টিং। এখানে প্রিন্স ফিলিপকে দেখা যাচ্ছে রোহ্যাম্পটন কাপ-এর সেমিফাইনালে পোলো খেলতে। তিনি ছিলেন ব্রিটেনের সেরা পোলো খেলোয়াড়দের একজন। ডিউক ছিলেন একজন পাকা ক্রিকেটার। এখানে ইংল্যান্ডের সাবেক তারকা ক্রিকেটার নিয়ে তার টিমের সাথে লড়ছে ডিউক অফ নরফোকের ক্রিকেট দল। রানি, ডিউক এবং তাদের চার সন্তান। বাঁ থেকে: এডওয়ার্ড, অ্যান্ড্রু, অ্যানি এবং চার্লস। ছবিটি ১৯৬০-এর দশকে তোলা। প্রিন্স ফিলিপ রানির সঙ্গী হয়ে ছিলেন ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। এখানে ২০০২ সালে রানির সুবর্ণজয়ন্তীর এক আয়োজনে তাদের দেখা যাচ্ছে সাধারণ মানুষের মাঝে। প্রিন্স ফিলিপ ১৯৫৬ সালে ডিউক অফ এডিনবরা স্কিম চালু করেন যার লক্ষ্য হচ্ছে তরুণদের দক্ষতা অর্জণে সহায়তা করা। এখানে ২০১০ সালের এক অনুষ্ঠানে তাকে দেখা যাচ্ছে তরুণ প্রতিনিধিদের সাথে রসিকতা করতে। ছেলে প্রিন্স চার্লসের সাথে এক অন্তরঙ্গ মুহূর্তে ডিউক অফ এডিনবরা। ২০১৩ সালের জুন মাসে রানির সিংহাসনে আরোহণের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ওয়েস্টমনিস্টার অ্যাবিতে এক প্রার্থণা সভায় প্রিন্স ফিলিপ।