বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে জঙ্গি !

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্ক

চট্টগ্রামে নৌ-ঘাঁটি এলাকায় মসজিদে বোমা হামলার ঘটনায় নৌবাহিনীরই এক কর্মচারী আটকের খবরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ বলছে আটক মিজান তিন বছর যাবৎ নৌবাহিনীতে ব্যাটম্যান হিসেবে কর্মরত আছে। এমনকি আটক ব্যাক্তি ভুয়া শিক্ষাসনদ ব্যবহার করে নৌবাহিনীতে চাকরি নিয়েছিল বলেও দাবি করছে পুলিশ। এমন উদ্বেগজনক খবরের পর সাবেক এক সেনা কর্মকর্তা শনিবার বিবিসিকে বলেন, সেনাবাহিনীর মধ্যে জঙ্গিদের ছাঁকনি দিয়ে বের করার সময় এসেছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এবং গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট অব কনফ্লিক্ট, ল এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের পরিচালক মেজর জেনারেল আবদুর রশিদ বলছেন সামরিক বাহিনীরই একজন কর্মচারী সুরক্ষিত সেনা এলাকায় হামলার সঙ্গে জড়িত বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সেটি নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক, যদিও সন্দেহভাজন হামলাকারী ইউনিফর্ম পরা সেনা কর্মচারী নয়।

বিবিসিকে তিনি বলছেন যতদূর জানা যাচ্ছে এই ব্যক্তি প্রায় বছর তিনেক ধরে নৌবাহিনীতে কাজ করেছে। তাকে যে জঙ্গীবাদে দীক্ষা দেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে এই তিন বছরের মধ্যে তার জঙ্গীবাদে উদ্বুদ্ধ হওয়ার বিষয়টা যে ধরতে পারা গেল না – সেটা অবশ্যই চিন্তার কারণ।

তিনি আরও বলেন, ওই ব্যক্তি যে কাজে যোগ দিয়েছিল তার জন্যে সে ছিল ‘ওভারকোয়ালিফায়েড’। সেক্ষেত্রে একজন ওভারকোয়ালিফায়েড ব্যক্তি যখন সেখানে স্বেচ্ছায় যোগদান করেছে– সেটাকে আমি গোয়েন্দা পরিভাষায় বলব একধরনের ‘অনুপ্রবেশ’।

সামরিক বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে যে ‘ভেটিং’ বা যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া রয়েছে অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবদুর রশিদ বলছেন তার মতে সেটা এক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। যেহেতু এখন দেখা যাচ্ছে সামরিক বাহিনীকে টার্গেট করে তার ভেতরেও ‘ইনফিলট্রেশন’ বা ঢোকার একটা চেষ্টা শুরু হয়েছে তাই আবদুর রশীদ মনে করছেন আগের তুলনায় এই যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া আরও শক্ত হাতে করা প্রয়োজন বিশেষ করে নিচের তলার গ্রেডগুলোতে।

তিনি বলেন, আমার মনে হয় এই নিচের তলার কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্যগুলো আর হাল্কা করে দেখার সুযোগ এখন আর নেই। এছাড়াও যারা বর্তমানে চাকরি করছে, তাদের বিষয়ে আবার নতুন করে খতিয়ে দেখতে হবে যে, এরকম ফাঁকফোঁকর দিয়ে কতজন লোক এসে গেছে- আমার মনে হয় সময় এসেছে নতুন করে আবার ছাঁকনি দেবার।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবদুর রশীদ মনে করছেন সামরিক বাহিনীকে টার্গেট করার পেছনে একটা কারণ আন্তর্জাতিকভাবে একটা চাঞ্চল্য সৃষ্টি করার বিষয়। তিনি বলছেন একটা সুরক্ষিত এলাকার ভেতরে কোনো হামলা করতে পারলে চিরাচরিতভাবে তারা জানে তারা সংবাদমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবে। তবে এধরনের হামলার মাধ্যমে সরকার পতন সম্ভব নয় জানিয় সাবেক এ  কর্মকর্তা বলেন, তিনি মনে করেন না যে তারা (জঙ্গিরা) এখনই এতটা শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।  -বিবিসি


Spread the love

Leave a Reply