ভারতের করিম গঞ্জে রাগীব আলী গ্রেফতার : বাংলাদেশে হস্তান্তর

Spread the love

15203232_532449736952891_1809300689399228219_nবাংলা সংলাপ ডেস্কঃভারতের করিমগঞ্জে আটক সিলেটের ব্যবসায়ী রাগীব আলীকে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে দেশটির পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে বিয়ানীবাজার সুতারকান্দি সীমান্ত দিয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।

বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বিয়ষটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ইমিগ্রেশনের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শেষে রাগীব আলীকে সিলেটে নিয়ে আসা হচ্ছে। পরে তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
পাসপোর্ট ও ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের করিমগঞ্জ পুলিশ তাকে আটক করা হয়।

এর আগে গত ১২ নভেম্বর জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশকালে রাগীর আলীর ছেলে আব্দুল হাইকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে তাকে বিশ্বনাথ থানায় জালিয়াতি ও প্রতারণার দু’টি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশ সূত্র জানায়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতির দু’টি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরপরই পরিবারের ৫ সদস্য নিয়ে গত ১২ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান রাগীব আলী।

এদিকে আদালত সূত্রে জানা যায়, নিয়ম অনুযায়ী ৯০ দিনের বেশি ভারতে কেউ থাকতে পারবেন না। কিন্তু রাগীব আলী ১০ আগস্ট সিলেট থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর ১০ নভেম্বর পর্যন্ত তার ৯০ দিন হয়ে যায়। পরে তিনি ভারতে করিমগঞ্জের ইমিগ্রেশনে ভিসার মেয়াদ বাড়াতে আসেন। কিন্তু ৯০ দিনের বেশি সময় থেকে ভারতে থাকার কারণে তার ভিসার মেয়াদ না বাড়িয়ে তাকে গ্রেফতার করে ভারতের ইমিগ্রেশন পুলিশ।

চলতি বছরের ১০ জুলাই ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে তারাপুর চা বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তি দখল ও আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা দুটি মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সারোয়ার জাহান অভিযোগপত্র দুটি আদালতে দাখিল করলে ১০ আগস্ট শুনানি শেষে আদালত রাগীব আলী ও তার একমাত্র ছেলে আবদুল হাইসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

পরোয়ানাভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন তারাপুর চা বাগানের সেবায়েত পংকজ কুমার গুপ্ত, রাগীব আলীর আত্মীয় মৌলভীবাজারের রাজনগরের বাসিন্দা দেওয়ান মোস্তাক মজিদ, রাগীব আলীর ছেলে আবদুল হাই, মেয়ে রুজিনা কাদির ও জামাতা আবদুল কাদির। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর ওইদিন বিকেলে জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যান রাগীব আলী ও তার ছেলেমেয়ে।


Spread the love

Leave a Reply