যুক্তরাষ্ট্রে মুসল্লিদের মধ্যে আতংকঃ মসজিদগুলোতে টহল পুলিশ বাড়ানোর দাবী

Spread the love

7732716-3x2-700x467বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ নিহত ইমাম মাওলানা আলাউদ্দিন আকুঞ্জি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলা হবিগঞ্জ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলেন।
নিউইয়র্কের একটি বাঙ্গালী অধ্যুষিত মসজিদের সামনে ওই মসজিদেরই ইমাম-সহ দুজন নিহত হবার পর মুসল্লিদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে বলে জানাচ্ছেন সংবাদদাতারা।
ইমাম আলাউদ্দিন আকুঞ্জি এবং তার সঙ্গে থাকা অপর মুসল্লি তারা মিঞাকে গত শনিবার জোহরের নামাজ পড়ে ফেরার সময় গুলি করে হত্যার এই ঘটনাকে স্থানীয় বাঙালী সম্প্রদায় ‘হেট ক্রাইম’ বলে বর্ণনা করলেও পুলিশ বলছে, যেহেতু হত্যার মোটিভ জানা যায়নি এখনো এবং হত্যাকারীদের এখনো চিহ্নিত করা যায়নি, ফলে এটি ‘হেট ক্রাইম’ কিনা সেটা এখনই বলে ফেলা যাবে না।
নিউইয়র্ক থেকে সংবাদদাতা লাভলু আনসার জানাচ্ছেন, বাংলাদেশীদের পরিচালিত যতগুলো মসজিদ রয়েছে তার প্রায় সবগুলোর পক্ষ থেকেই নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের প্রতি টহল পুলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি করবার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।
বিশেষ করে নামাজের সময় অংশগ্রহণকারী মুসল্লিদের যাতায়াত পথেও যাতে পুলিশের নজরদারী থাকে সেই আবেদনও তারা জানিয়েছেন, বলছেন লাভলু আনসার।
160815015549_mosque_imam_killed_usa_640x360_shahinchowdhuryviaap_nocreditসংবাদদাতা জানাচ্ছেন, মি. আকুঞ্জি ও মি. মিঞার মৃতদেহের ময়না তদন্ত শেষ হবার পর সোমবার নিউইয়র্ক সময় বেলা এগারোটার দিকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ওইদিন বেলা দুটার দিকে কুইন্সের ওযোন পার্কে আল-ফুরকান জামে মসজিদ প্রাঙ্গণেই তাদের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
জানাজা শেষে ইমাম মি. আকুঞ্জির মৃতদেহ দাফনের জন্য বাংলাদেশে পাঠানো হবে।
মি. মিঞাকে যুক্তরাষ্ট্রেই দাফন করা হবে।
হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আসছে বুধবার নিউইয়র্কের বাংলাদেশ সোসাইটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছ’টায় আল-ফুরকান মসজিদের সামনে একটি বড়সড় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বলেও জানিয়েছে।

Spread the love

Leave a Reply