‘রাশিয়ার মূল টার্গেট যুক্তরাজ্য’: ব্রিটিশ গোয়েন্দা রিপোর্ট

Spread the love

বাংলা সংলাপ রিপোর্টঃ রাশিয়া যুক্তরাজ্যকে পশ্চিমা দুনিয়ার সবচেয়ে বড় লক্ষ্যবস্তুর একটি বলে মনে করে।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংক্রান্ত ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি কমিটি (আইএসসি) এক রিপোর্টে এই মন্তব্য করেছে।

এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং ”পশ্চিমা বিশ্বে প্রধান রুশ-বিরোধী লবি”– এই কারণে ব্রিটেন রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।

রিপোর্টটি আরও আগে প্রকাশিত হওয়ার কথা থাকলেও আজই সেটি প্রকাশ করা হলো।

তবে এতে অনেক স্পর্শকাতর বিষয় থাকায় রিপোর্টের অনেক কিছুই জনগণের সামনে প্রকাশ করা হবে না।

রাশিয়ার তরফে মিথ্যে তথ্য প্রচার, সাইবার আক্রমণ এবং ব্রিটেনে রুশ নাগরিকরা এই রিপোর্টের বিষয়বস্তু হিসেবে থাকছে।

আইএসসির রিপোর্টে যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন সময়ের সরকারের সমালোচনা করে বলা হয়, এরা ”রুশ ‌অলিগার্ক” নামে পরিচিত বিত্তবান ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের বুকে টেনে নিয়েছে।

যার ফলে ব্রিটেনের ওপর রুশ প্রভাব এখন এক ‌”নিউ নর্মাল‌” বা নতুন এক স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে বলে আইএসসির রিপোর্টে মন্তব্য করা হয়েছে।

এই রিপোর্ট প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে আইএসসির একজন সদস্য কেভিন জোন্স রিপোর্টটির প্রকাশে দেরি করার জন্য প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সমালোচনা করেন।

ডিসেম্বরে নির্বাচনের আগে রিপোর্টটি প্রকাশ করার কথা ছিল। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে তারা সেটি আটকে রেখেছিল। তবে ডাউনিং স্ট্রিট অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ব্রিটেনে নির্বাচনকে ঘিরে ভুয়া তথ্য প্রচারের জন্য সে দেশটিকে ‘পরিষ্কারভাবে টার্গেট’ করা হয়েছিল বলে আইএসসির রিপোর্টে বলা হয়েছে।

কিন্তু সে সময় বিষয়টিকে ‘হট পটেটো’ বা বিতর্কিত বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়, এবং এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে কোন একেক সংস্থা প্রস্তুত ছিল না।

আইএসসির সদস্য স্টুয়ার্ট হোসি বলেন, কেউ একে ১০ ফুট দীর্ঘ লাঠি দিয়ে স্পর্শ করতেও রাজি ছিল না।

ব্রেক্সিট বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের প্রত্যাহার প্রশ্নে ২০১৬ সালে যে গণভোট হয়েছিল সেখানে রাশিয়া কোনভাবে প্রভাব বিস্তার করেছিল কিনা, সে সম্পর্কেও কোন মূল্যায়ন করা হয়নি, বলছেন তিনি, “কারণ, তারা এ সম্পর্কে জানতে আগ্রহীও ছিল না।”

কেভিন জোন্স বলেন, ২০১৪ সালের স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোটের সময় কোন রুশ হস্তক্ষেপ ঘটেছিল কিনা সরকার তাও জানতে চায়নি।


Spread the love

Leave a Reply