রিওতে অর্থনৈতিক জরুরী অবস্থা : প্রশ্নের মুখে অলিম্পিক আয়োজন

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্ক:

রাজিলের দ্বিতীয় বৃহত্তর ঘনবসতিপূর্ণ রাজ্য রিও ডি জেনিরোর অর্থনৈতিক খাতে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। সংকটের মুখে রাজ্যে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। আসছে আগষ্টে রিও দে জেনেইরো রাজ্যেই অলিম্পিকের আসর বসার কথা।

কর্তৃপক্ষের জারি করা এক ডিক্রিতে দরনেলেস বলেন, রাষ্ট্র ‘জনদুর্যোগ’ মোকাবেলা করছে, সব রাষ্ট্রীয় সেবা ব্যবস্থা ‘পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়তে’ পারে। অলিম্পিক শুরু হওয়ার আর মাত্র ৫০ দিনেরও কম সময় বাকি। ঠিক এই মুহূর্তে কর্তৃপক্ষের অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা জারি প্রশ্নের মুখে ফেলেছে বিশ্বের বৃহত্তম ক্রীড়াযজ্ঞকে।

রিও রাজ্যের অন্তবর্তীকালীন গভর্নর ফ্রান্সিসকো ডোরনেলেস বলেছেন, গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটের কারণে এই অলিম্পিক আসরকে যথাযথ সম্মান জানানোর যে অঙ্গীকার রাজ্যটি করেছিল তা থেকে তাদের বিরত থাকতে হতে পারে।

এবারের অলিম্পিক আসরে গণসেবা খাতের অধিকাংশ তহবিলের যোগান দেয়ার কথা রিওর নগর সরকারের। আর পরিবহন ও পুলিশি সেবা দেয়ার কথা রাজ্য সরকারের। অলিম্পিকের তহবিলের বড় অংশ আসে রিও নগরীর রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে। তবে যাতায়াত ও নিরাপত্তার ব্যয়ভার বহন করে রাষ্ট্র। অবশ্য খেলার বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট মিশেল তামের বড় অংকের অর্থনৈতিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

এর আগে ব্রাজিলের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রেসিডেন্ট মিশেল তেমের উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তার অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে অর্থ সংকটে পড়তে হয়েছে দেশটিকে। এই অর্থনৈতিক সংকটের কারণ হিসেবে তেল খাতে করের ঘাটতিকে দায়ী করেছেন গভর্নর। ব্রাজিলের গভীর অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবেলায় ফেডারেল ইমারজেন্সি ফান্ড গঠন করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ব্রাজিলের বহু সরকারি চাকরিজীবী ও পেনশনধারীদের বেতন ও পেনশন বকেয়া রয়েছে। এ ছাড়াও হাসপাতাল ও পুলিশ স্টেশনগুলোর ওপরও এর গুরুতর প্রভাব পড়ছে।


Spread the love

Leave a Reply