শেনজেন অঞ্চলে তুর্কী নাগরিকদের ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার দিচ্ছে ইইউ

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্ক:

ইউরোপের পাসপোর্ট-ফ্রি শেনজেন অঞ্চলে তুরস্কের নাগরিকদের শর্তসাপেক্ষে ভিসা মুক্ত ভ্রমণের অনুমতি দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এর ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৬টি দেশে ভিসা ছাড়া ভ্রমণের সুযোগ পেতে যাচ্ছে তুর্কী নাগরিকরা। আগামী মাসের শেষ নাগাদ বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হতে পারে। বিস্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।

মঙ্গলবার বিবিসির খবরে বলা হয়,  ইজিয়ান অঞ্চল বা ইজিয়ান সাগর পাড়ি দিয়ে যেসব অভিবাসন প্রত্যাশী গ্রিসে প্রবেশ করেছে, তাদের ফেরত নিতে রাজি হয়েছে তুরস্ক। এরই অংশ হিসেবে দেশটিকে ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুযোগ দিচ্ছে ইইউ। দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী, ২০ মার্চ থেকে যেসব অভিবাসন প্রত্যাশী গ্রিসে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে, তারা অভিবাসনের জন্য আবেদন না করলে কিংবা তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হলে, তুরস্কে ফেরত পাঠানো হবে।

চুক্তি অনুযায়ী, একজন সিরীয় অভিবাসন প্রত্যাশীকে তুরস্কে ফিরিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে ইইউ বৈধভাবে আবেদন করা আরেকজন সিরীয়কে গ্রহণ করবে। কিছু মানবাধিকার সংগঠন তুরস্ক-ইইউ চুক্তির ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তাদের মতে, অভিবাসন প্রত্যাশীদের ফেরত যাওয়ার জন্য উপযুক্ত স্থান নয় তুরস্ক। এ চুক্তির ব্যাপারে গত মাসে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক বলেছিলেন, চুক্তির ফল আসতে শুরু করেছে। তিনি তুরস্ক সরকারের প্রশংসা করে বলেন, কীভাবে শরণার্থীদের সঙ্গে আচরণ করতে হয়, তার সর্বোৎকৃষ্ট নমুনা দেখিয়েছে তুরস্ক।

বর্তমানে ভ্রমণ বা ব্যবসার প্রয়োজনে শেনজেন অঞ্চলে যেতে তুরস্কের নাগরিকদের তিন মাস মেয়াদে অস্থায়ী ভিসা নিতে হয়। নতুন চুক্তিটি অনুমোদন পেলে এর আর প্রয়োজন হবে না। কিন্তু এই চুক্তি ইউরোপের কোনও দেশে তুর্কিদের চাকরি করার অধিকার দেবে না।

তবে, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড ও সাইপ্রাস ইইউ-র অন্তর্ভূক্ত হলেও তারা শেনজেন অঞ্চলের অন্তর্ভূক্ত নয়। তাই ওইসব দেশে যেতে তুরস্কের নাগরিকদের ভিসার প্রয়োজন হবে।


Spread the love

Leave a Reply