সরকার গঠন করতে চান থেরেসা মে, রানীর অনুমতির অপেক্ষায়

Spread the love

mayবাংলা সংলাপ ডেস্কঃ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির (ডিইউপি) সহায়তা নিয়ে সরকার গঠনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা থেরেসা মে। এরইমধ্যে ডিইউপি থেকে মে-কে ইতিবাচক ইঙ্গিত দেওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ডিউপির সঙ্গে জোট করে সরকার গঠনের অনুমতির জন্য রাজপ্রাসাদে যাবেন থেরেসা মে। সেখানে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয় লাভ করলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি থেরেসা মে’র দল কনজারভেটিভ পার্টি। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে দলটিকে ৩২৬টি আসনে জয় পেতে হতো। কিন্তু ৬৫০টি আসনের মধ্যে ৬৪৯টি আসনের ফলাফলে দলটি পেয়েছে ৩১৮টি আসন। অর্থাৎ, ঝুলন্ত পার্লামেন্ট পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে ডিইউপির সহায়তা নিয়ে সরকার গঠনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন মে। পার্লামেন্ট নির্বাচনে ডিইউপি ১০টি আসনে জয়ী হয়েছে। থেরেসা মে’র সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়া প্রশাসনকে ডিইউপির এমপিরা সমর্থন দেবেন এমন আশ্বাস পাওয়ার পর সরকার গঠনে উদ্যোগী হয়েছে এ কনজারভেটিভ নেতা। সরকার গঠনের জন্য রানির অনুমতি নিতে বাকিংহাম প্যালেসে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন থেরেসা।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রানীর কাছে যাওয়ার কথা তোর।

ঝুলন্ত পার্লামেন্ট পরিস্থিতিতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকবেন এবং ডাউনিং স্ট্রিটেই বসবাস করবেন যতক্ষণ না কারা নতুন সরকার গঠন করবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। তারপর ঝুলন্ত ওই সাংসদরা নিজেদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক করবেন। তারা চেষ্টা করবেন জোট গঠন করে একটা সরকার গঠন করতে অথবা কনজারভেটিভ দলের নেতা থেরেসা মে অথবা লেবার নেতা জেরেমি করবিনকে প্রধানমন্ত্রী করে হয়ত কোনো একটা সমাঝোতার ভিত্তিতে সরকার গঠন করতে। অথবা দুই দলের মধ্যে কোনও একটি দলের নেতা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে তারা সংখ্যালঘু সরকার গঠন করবেন;এই ভিত্তিতে যে যখন পার্লামেন্টে আইন পাশ করতে হবে,তখন ছোট দলগুলোর সমর্থন তারা নিশ্চিতভাবে পাবেন। এক্ষেত্রে ডিইউপির সমর্থন পাওয়ার আশা করছেন থেরেসা মে।


Spread the love

Leave a Reply