স্ত্রী ও দুই কন্যা হত্যায় লন্ডনে বিচারের মুখোমুখি বাংলাদেশি

Spread the love

স্বামী – স্ত্রীর ঝগড়ার সূত্রপাত

বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান হত্যার অভিযোগে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তিকে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে। ২০১৯ সালের শুরুতে মোহাম্মদ আব্দুল শাকুর নামের ওই বাংলাদেশিকে ভারত থেকে যুক্তরাজ্য নিয়ে আসা হয়েছে। ৪৬ বছরের এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের নিউ ইয়ারের দিন স্ত্রী জুলি বেগম (২৬) ও দুই মেয়ে আনিকা (৫) ও থানহা খানমকে (৬) হত্যার অভিযোগ রয়েছে।

লন্ডনের ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস (সিপিএস) জানায়, ১২ বছর পূর্বে অভিবাসী অবস্থা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার সূত্র ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটান শাকুর। তিনি লন্ডনের একটি বাংলাদেশি রেস্তোরাঁয় শেফ হিসেবে কাজ করতেন। ২০০৭ সালে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার পর লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে জরুরি পাসপোর্টের আবদেন করেন এবং ভারতে পালিয়ে যান। পরে এবছরের এপ্রিলে তাকে যুক্তরাজ্যে ফিরিয়ে আনা হয়।

সিপিএস প্রসিকিউটর ডেভিড স্পেন্স আদালতকে জানান, ১৯৯৯ সালে জুলি বেগম ১৯ বছর বয়সে শাকুরকে বিয়ে করার জন্য যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ যান। শাকুর সম্পর্কে তার জ্ঞাতি ভাই। পরে শাকুর পূর্ব লন্ডনে জুলি বেগমের বাসায় আসেন এবং সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করেন। তিন বছরের মধ্যে তাদের দুই সন্তানের জন্ম হয়।

স্পেন্স জুরিদের বলেন, জুলি বেগম ও আব্দুল শাকুরের দাম্পত্য জীবন সুখের ছিল না। আসামির অভিবাসী অবস্থা ও পরিবারের খরচ বহনে আর্থিক সমঝোতার জন্য এই বিয়ে হয়।

জুলি বেগম যুক্তরাজ্যে স্থায়ী বসবাসের অনুমতির ভিসা পেতে শাকুরকে সহযোগিতা করতে রাজি হননি। কারণ তিনি আশঙ্কা করছিলেন, স্থায়ী হলে শাকুর অন্য কোনও নারীকে বিয়ে করবেন। এই বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। শাকুরের স্ত্রী ও সন্তান হত্যায় এটিকেই প্রধান কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

শাকুর তিনটি হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আদালতে তিনি বাংলা দোভাষী ব্যবহার করছেন। আগামী সপ্তাহে মামলার রায় ঘোষণা করা হতে পারে।


Spread the love

Leave a Reply