৫ জানুয়ারিকে সামনে রেখে মুখোমুখি আওয়ামী লীগ বিএনপি

Spread the love

ON-N-15-22-10-20151নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ৫ জানুয়ারি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশের ঘোষণা দেওয়ার পর একই স্থানে একই দিনে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আব্দুস সোহবান গোলাপের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। দশম জাতীয় নির্বাচনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে আরো ১৭ জায়গায় একযোগে সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

এর আগে দুপুরে ৫ জানুয়ারিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’আখ্যায়িত করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপি। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই আওয়ামী লীগের কর্মসূচির ঘোষণা আসে। এই দিনটিকে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে আওয়ামী লীগ।

গত ৩০ ডিসেম্বর সারা দেশে পৌরসভার ভোট শেষে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে রাজধানীতে ৫ জানুয়ারি সমাবেশ করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে শনিবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ ও মাইক ব্যবহারের অনুমতির জন্য আবেদনপত্র নিয়ে ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে যায় বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল।

শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সমাবেশের ঘোষণা দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জনগণ এবং প্রায় সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই প্রহসনের নির্বাচন করা হয়েছে। এই দিনে গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছে। দেশের মানুষের সবচেয়ে বড় অর্জন গণতন্ত্র সেদিন নিহত হয়েছে। সেই জন্য এই দিবসটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা’ দিবস হিসেবে চিহ্নিত করেছিলাম।

একই সাথে রাজধানীতে ১৭ স্থানে সমাবেশের বিষয়ে আওমী লীগের পক্ষ থেকে জানানে হয়, মিরপুর-১২ পূরবী সিনেমা হলের সামনে সমাবেশের দায়িত্বে থাকবেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, এস এম কামাল হোসেন এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা।

শ্যামপুর-জুরাইন রেলগেটে দায়িত্বে থাকবেন সাংগঠনিক সম্পদাক আহমদ হোসেন, মমতাজ উদ্দিন মেহেদী, এ কে এম এনামুল হক শামীম, সানজিদা খানম।

ডেমরা-যাত্রাবাড়ী মাঠের দায়িত্বে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা।

বাড্ডা-রামপুরা পেট্রোল পাম্প এলাকার দায়িত্বে প্রাক্তন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতউল্লাহ।

ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর রোড এলকার দায়িত্বে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু, দেওয়ান শফিউল আরেফীন টুটুল, সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস।

মিরপুর-১ (গোলচত্ত্বর) এর দায়িত্বে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, আখতারুজ্জামান, সংসদ সদস্য আসলামুল হক আসলাম।

লালবাগের দায়িত্বে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, ঢাকা মহানগর সভাপতি এম এ আজিজ, প্রাক্তন সংসদ সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, উপ-দফতর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস।

গুলশানে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আমিনুল ইসলাম আমিন।

সূত্রাপুরে সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সুজিত রায় নন্দী।

তেজগাঁওয়ে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, প্রাক্তন পরিবেশ মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, মো. আব্দুস ছাত্তার।

সবুজবাগ-খিলগাঁওয়ে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন, সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান, প্রাক্তন গণপূর্তমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান।

উত্তরায় প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাহারা খাতুন, প্রাক্তন বিমানমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান; কামরাঙ্গীর চরে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সতীশ চন্দ্র রায়, ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

মোহাম্মদপুর টাউন হলে উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ফরিদুন্নাহার লাইলী, পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।

কাফরুলে প্রাক্তন পররাষ্ট্রপমন্ত্রী দীপু মনি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক।

গুলিস্থান-বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন মেয়র, হাবিবুর রহমান সিরাজ; বনানী-মহাখালীতে ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক, শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

এ ছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দায়িত্বে থাকবেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মো. মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, অসীম কুমার উকিল।


Spread the love

Leave a Reply