অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার অনুমোদন দিল যুক্তরাজ্য
বাংলা সংলাপ রিপোর্টঃ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস টিকার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
যুক্তরাজ্যের টিকাদান কর্মসূচির জন্য এটিকে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
টিকাটির উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা থেকে টিকাটির ১০ কোটি ডোজের ক্রয়াদেশ এরই মধ্যে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।
এই অনুমোদনের অর্থ হচ্ছে যুক্তরাজ্যের নীতিনির্ধারকেরা মনে করছেন টিকাটি নিরাপদ এবং কার্যকর।
বাংলাদেশ সরকার এর আগে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে এই টিকাটি আনছে বলে জানিয়েছে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই টিকাটি ২০২০ সালের প্রথম মাসেই তৈরি করা হয়, এপ্রিলে প্রথমবারের মত কোন স্বেচ্ছাসেবীর ওপর প্রয়োগ করা হয় এবং এরপর হাজার-হাজার মানুষের ওপর টিকাটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা হয়।
যেই গতিতে এই টিকাটি উদ্ভাবন করা হয়েছে তা মহামারির আগে অচিন্তনীয় ছিল।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দ্বিতীয় কোন টিকা হিসেবে এটি যুক্তরাজ্যে অনুমোদন পেল।
টিকা আবিষ্কারক কোম্পানিগুলো কি শত শত কোটি ডলার মুনাফা করতে যাচ্ছে?
এর আগে ডিসেম্বরেই ফাইজার-বায়োঅ্যানটেকের টিকা অনুমোদন দিয়েছিল দেশটি।
যুক্তরাজ্যে এরই মধ্যে ৬ লক্ষ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে।
তবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার অনুমোদন দেয়ার ফলে টিকাদানের গতি বেশ খানিকটাই বেড়ে যাবে কারণ এই টিকাটি স্বল্পমূল্যের এবং সহজেই উৎপাদন করা যায়।
সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, এই টিকাটি সাধারণ ফ্রিজেই সংরক্ষণ করা যায়, যেখানে ফাইজার-বায়োঅ্যানটেকের টিকাটি সংরক্ষণ করতে হয় -৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়।
কীভাবে এই টিকা কাজ করে?
শিম্পাঞ্জিদের সংক্রমিত করতে পারে এমন একটি সাধারণ ঠান্ডা-জ্বরের ভাইরাসের মধ্যে জিনগত পরির্তন এনে এই টিকাটি তৈরি করা হয়েছে।
এটিকে এমনভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে যাতে এটি মানবদেহে সংক্রমণ ঘটাতে না পারে এবং এর মধ্যে রয়েছে করোনাভাইরাসের মূল নকশার একটি অংশ, যা কিনা ‘স্পাইক প্রোটিন’ নামে পরিচিত।
যখনি এই মূল নকশাটিকে শরীরে প্রবেশ করানো হয় তখনি সেটি মানবদেহে স্পাইক প্রোটিন তৈরি করতে শুরু করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তখন এটিকে একটি হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে এবং এটিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে।
পরবর্তীতে যখন ঐ ব্যক্তি আসল ভাইরাসে আক্রান্ত হবে, তখন তার শরীর আগে থেকে জানবে যে কীভাবে এই ভাইরাসটিকে প্রতিরোধ করা যায়।