অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্বাগত জানাল যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন
বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন।
ম্যাথু মিলার বলেন, ‘সাম্প্রতিক সহিংসতা বন্ধে ড. ইউনূসের আহ্বানকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ড. ইউনূস বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ তৈরি করতে চায়। তাই আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ড. ইউনূসের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছি।’
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার কূটনীতিক হেলেন লা ফাভে উপদেষ্টাদের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে জানান ম্যাথু মিলার।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে। ইইউর পররাষ্ট্রনীতি–বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, ইইউ বাংলাদেশের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। গণতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তরের জটিল এ কাজে তাদের সহায়তা করা হবে। এ প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হতে হবে।
ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশত্যাগ করেন। এরপর দেশ পরিচালনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এই সরকারে আছেন ১৭ জন। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর বঙ্গভবনের দরবার হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও ১৩ জন (তিনজন ঢাকার বাইরে থাকায় আজ শপথ নিতে পারেননি) উপদেষ্টাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভকামনা জানালেন নরেন্দ্র মোদি
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়া ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভকামনা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে খুব দ্রুত স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসবে, সেই প্রত্যাশা করছে ভারত।
আজ বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, ‘নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভকামনা জানাচ্ছি। বাংলাদেশে খুব দ্রুত স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসবে এবং হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে বলে আমরা (ভারত) প্রত্যাশা করছি।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও লিখেছেন, ‘শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য আমাদের উভয় দেশের জনগণের অভিন্ন আশা–আকাঙ্ক্ষা পূরণে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে।’
ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে গত সোমবার শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যান। এখন দেশ পরিচালনায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জন উপদেষ্টার একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। সেই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ১৩ জন উপদেষ্টা আজ রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে শপথ নিয়েছেন।