অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সর্বাধিক শিরোপা জকোভিচের

Spread the love

autralian-open-winner-djokovic_samakal_afp_189979বাংলা সংলাপ ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পুরুষ এককে ষষ্ঠবারের মতো শিরোপা জিতলেন নোভাক জকোভিচ। এবারও অ্যান্ডি মারেকে হারিয়েই শিরোপা জিতেছেন সার্বিয়ান এই টেনিস সেনসেশন।

রোববার মেলবোর্নের রড লেভার অ্যারেনার হাইভোল্টেজ ফাইনালে সরাসরি ৬-১, ৭-৫, ৭-৬ (৭/৩) গেমে মারেকে হারান জকোভিচ। গত আসরেও জকোভিচের কাছেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ব্রিটিশ তারকা মারের। আর এ নিয়ে পাঁচবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে উঠেও খালি হাতে ফিরলেন মারে।  শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করেন জকোভিচ। মেলবোর্নের ফাইনালে স্কটিশ প্রতিদ্বন্দ্বী মারে বলতে গেলে পাত্তাই পাননি; হেরেছেন সরাসরি সেটে।

২০০৮ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে এ নিয়ে ছয়টি শিরোপা জিতলেন সার্বিয়ান তারকা জকোভিচ। উন্মুক্ত যুগে তিনিই সর্বোচ্চ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপাধারী। তবে সব মিলিয়ে রেকর্ডটা যৌথ। কারণ উন্মুক্ত যুগের আগে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ছয়বার শিরোপা জেতার রেকর্ড আছে রয় এমারসনের।

ক্যারিয়ারে জকোভিচের এটি ১১তম গ্রান্ডস্লাম; যাতে তিনি স্পর্শ করেছেন দুই গ্রেট অস্ট্রেলিয়ার রড লেভার ও সুইডেনের বিয়ন বোর্গকে। আর পঞ্চমবারের মতো কোন গ্রান্ড স্লামের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন জকোভিচ-মারে। আগের চারটিতে তিনটিতেই জিতেন জকোভিচ।

রোববারের ফাইনালে প্রথম সেটটা ৬-১ ব্যবধানে জেতেন জকোভিচ। যেখান একটি মাত্র গেমই জিতেছেন মারে। তবে প্রত্যয়ী মারে ফেরার চেষ্টা করেছেন পরের সেটেই। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে সেটটাকে নিয়ে যান টাইব্রেকে। কিন্তু সেখানেও ঘাম ঝরিয়ে জয় তুলে নেন সার্বিয়ান টেনিস তারকা। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর ৭-৫ গেমে জিতে ২-০ ব্যবধানে লিড নেন তিনি।

তৃতীয় সেটেও একই চিত্র। কঠিন লড়াই করে অদম্য জকোভিচের কাছে হার মানেন মারে। পুরো ম্যাচের ব্যাপ্তি দুই ঘণ্টা ৫৩ মিনিট। জয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই মারের সঙ্গে বুক মেলান সার্বিয়ান গ্রেট। এরপর অতি পরিচিত মেলবোর্নের কোর্টে চুমু আঁকেন সযত্নে।

আর হেরে যাওয়ার পরও হাসি মুখে জকোভিচকে অভিনন্দন জানান মারে। তবে শুরুর বাক্যটি ছুয়ে যায় অনেকের মন, আমার মনে হচ্ছে, এখানে আমি আগেও এসেছি। পরের বাক্যে জকোভিচকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, কংগ্রেটস, নোভাক। ছয়টি অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জেতা সত্যিই অসাধারণ কিছু। গত বছরটাও দারুণ ছিল তোমার।

তবে শিরোপা জিতলেও মারেকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন জকোভিচ। বাবা হতে যাওয়া মারেকে জানিয়েছেন আগাম অভিনন্দনও। তিনি বলেন, তাকে সম্মানই জানাচ্ছি, দারুণ একটা টুর্নামেন্টের জন্য। আজকের রাতটি ছিল কঠিন ভাগ্যেরই। সে (মারে) গ্রেট চ্যাম্পিয়ন, মহৎ বন্ধু এবং একজন পেশাদার খেলোয়াড়। আশা করি, এই ট্রফি জেতার সুযোগ সে অনেক পাবে। আমি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি কিমকে (মারের স্ত্রী)। শুভ কামনা অনাগত সন্তানের জন্য। আশা করি, মারে উপভোগ করবে নতুন অভিজ্ঞতা।


Spread the love

Leave a Reply