আইএস ঘাটিতে যোগ দেয়ার অভিযোগে বৃটিশ মহিলার ৬ বছরের জেল
বাংলা সংলাপ ডেস্ক:সিরিয়ায় আইএস ঘাটিতে যোগ দেয়ার অভিযোগে বার্মিংহ্যামের তারিনা শাকিলকে ৬ বছরের জেলদন্ড দিয়েছে আদালত। ২৬ বছর বয়সী তারিনাই হলেন বৃটিশ প্রথম মুসলিম মহিলা, যাকে আইএস ঘাটিতে যোগ দেয়ার অভিযোগে দোষি সাব্যস্ত করে জেলদন্ড দিয়েছে বৃটিশ আদালত। গত শুক্রবার বার্মিংহ্যামের ক্রাউন কোর্টের জুরিবোর্ডে তারিনা শাকিলকে আইএস ঘাটিতে যোগ দেয়ার পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমে সন্ত্রাসে উৎসাহ প্রদানের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। আর সোমবার তার সাজার মেয়াদ ঘোষণা করে আদালত।
প্রায় আড়াই দিনের শুনানি শেষে নিষিধ্ব জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেইট সংক্ষেপে আইএসে যোগ দেয়ার অভিযোগে বার্মিংহ্যাম ক্রাউন কোর্টে জুরি বোর্ড তারিনা শাকিলকে দোষিসাব্যস্ত করে। ২০১৪ সালের অক্টোবরে সিরিয়ার রাক্ষা শহরে যাওয়ার সময় একমাত্র সন্তানকেও সঙ্গে নিয়ে যান তিনি। অস্ত্রসহ তার ছেলের একটি ছবি প্রকাশ করে আদালত। তারিনা নিজেও আইএসের পোষাক পড়ে ছবি তুলেন। তিনি সিরিয়ায় গিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আইএসে যোগ দেয়ার জন্য অন্যদের আহ্বান করেন এমনকি তার ১২ বছরের ছোট ভাইকেও এ আহ্বান জানান বলে আদালতের শুনানিতে উল্লেখ করা হয়।
তারিনা শাকিল ২০১৫ সালের জানুয়ারীতে আইএস অধ্যুষিত রাক্কা শহর ত্যাগ করেন। এরপর ফেব্রুয়ারীতে ইউকেতে ফিরে আসেন তিনি। ফেরার পথে এয়ারপোর্ট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের জবাবে তিনি বলেছিলেন, তুরস্কে হলিডে কাটানোর সময় এক যুবকের সঙ্গে পরিচিত হবার পর ওই যুবক তাকে অপহরণ করে সিরিয়ার আইএস ঘাটিতে নিয়ে যায়।
কিন্তু তদন্তে বেরিয়েছে এর বিপরিত চিত্র। হলিডে নয় নতুন জীবনের আশায় পরিকল্পনা করেই তারিনা শাকিল ইস্টমিডল্যান্ডস এয়ারপোর্ট হয়ে সিরিয়ায় পাড়ি জমান বলে তদন্তে প্রমাণ হয়েছে। তবে কোর্টে আইএসে যোগদানের কথা অস্বীকার কওে তারিনা জানান, শুধুমাত্র শরীয় আইনের অধীনে জীবন যাপনের আশায় তিনি সিরিয়া গিয়েছিলেন। সোমবার তারিনা শাকিলের সাজার মেয়াদ ঘোষণা করে আদালত।