আইফোন ১১: ট্রাইপোফোবিয়াদের হার্টবিট বেড়ে যেতে পারে
সতর্কবার্তা: এই প্রতিবেদনে কিছু ছবি ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে একগুচ্ছ গর্ত এবং জ্যামিতিক নমুনা দেখানে হয়েছে। যাদের ট্রাইপোফোবিয়ার লক্ষণ আছে তাদের জন্য এটা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে।
নতুন আইফোনের রয়েছে তিনটা ক্যামেরা
অ্যাপল তার পণ্যের নকশার জন্য নামকরা। নতুন আইফোন ১১ তেমনি অভিজাত এবং আধুনিক।
কিন্তু ফোনটির পিছনের অংশে তিনটি ক্যামেরা অনেকেই সহ্য করতে পারছেন না।
ট্রাইপোফোবিয়া হল একটা ভীতি যেটা কিছু জ্যামিতিক নমুনা বা গুচ্ছ দেখে হতে পারে বিশেষ করে ছোট ছোট গর্তের মত দেখতে এমন কিছু।
মঙ্গলবার অ্যাপলের নতুন পণ্যের প্রদর্শন করা হলে সেটা খবরের শিরোনাম হয় এই কারণেই।
পদ্ম ফুলের বীজ
এর সবচেয়ে ভালো উদাহরণ দেয়া যায় পদ্ম ফুলের বীজ যেখানে এমন ছোট ছোট গর্তের মত আছে অথবা মৌচাকের মত।
এসেক্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আর্নল্ড উইলকিন্স এবং জেফ কোল মনে করেন এই ধরণের কিছু দেখে বিকর্ষণ বোধ করা বা ভয়ের সঞ্চার হওয়া একটা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হতে পারে।
নতুন দুটি আইফোন মডেলে পিছনের অংশে তিনটি গোলাকার ক্যামেরা আছে।
প্রকৃতপক্ষে এই ক্যামেরাগুলো আইফোনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
কারণ আইফোন ১১ প্রো এবং আইফোন ১১ প্রো ম্যাক্স একই সময়ে কয়েকটি ভিডিও ধারণ করার ক্ষমতা রাখে।
প্রো মডেলে রয়েছে টেলিফটো, ওয়াইড এবং আলট্রা ওয়াইড ক্যামেরা। এছাড়া অন্ধকার, রাতে বা অল্প আলোতে ছবি তোলার জন্য নাইট মোড রয়েছে।
নানা রং এর আইফোন
কিন্তু কিছু মানুষের জন্য এটা দু:স্বপ্নের মত।
যাদের ট্রাইপোফোবিয়া আছে তাদের এই গর্ত গুলো দেখে হার্টবিট বেড়ে যেতে পারে, বমি বা ঝিমানি ভাব আসতে পারে অনেক সময় শরীরের লোম শিউরে উঠতে পারে।
তাই কিছু মানুষ একটা ভালো কারণ মনে করছে নতুন মডেলের আইফোনটি না কেনার একটা অজুহাত হিসেবে।
অন্যরা সোশাল নেটওয়ার্কে মন্তব্য করে জানিয়েছে নতুন আইফোনের পিছনের দিকটা যখন দেখেছে তখন তাদের কী মনে হয়েছে।
আইফোন প্রো দেখে টুইটারে একজন লিখেছেন “এটার সবই ক্যামেরা”।
২০০৯ সালে একটি ফেসবুক পাতায় এই ফোবিয়াতে আক্রান্ত একজন ছাত্র প্রথম বিষয়টা উল্লেখ করেন।
তিনি অবশ্য আগের মডেলগুলো দেখে হুমকি মনে করেননি।
মৌচাকের মত দেখতে কোন কিছু ট্রাপোফোবিয়া বাড়িয়ে দিতে পারে
আইফোন ৮ বা এক্সআর এ মাত্র একটি ক্যামেরা আছে এবং সেটিতে এমন অদ্ভুত প্যাটার্ন ছিল না।
যাইহোক আইফোন ১১ প্রো এবং ম্যাক্স ভার্সন তিনটি ক্যামেরা যুক্ত আছে যেটা ট্রাইপোফোবিয়ায় আক্রান্তদের বিরক্ত করছে।
এটা পরিষ্কার যে কোম্পানির ডিজাইনাররা যখন এটার নকশা করেন তখন এই বিষয়টা একেবারেই তাদের মাথায় ছিল না যদিও এটাই তাদের প্রধান পণ্য।
ছোট ছোট গর্ত দেখার প্রতিক্রিয়া তীব্র হতে পারে। যখন অনেকগুলো ফোন এক সাথে করে বিভিন্ন রং দেখানোর ছবি তোলা হয় সেটা দেখে প্রতিক্রিয়া তীব্র হওয়া স্বাভাবিক।
মি. কোল বিবিসিকে বলেছেন ‘আমরা কম বেশি সবাই এটাতে ভুগি (ট্রাইপোফোবিয়ায়) । এর মাত্রা নির্ভর করে আমাদের কতটা আছে”।
এটা পরিষ্কার যে এই মুহূর্তে অ্যাপলের নতুন এই পণ্য নিয়ে খবর বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ইয়ার্কি আর মিম হচ্ছে সেটা থেকে রেহাই পাওয়া সহজ হবে না।