আকষ্মিক ঝটিকা সফরে পাকিস্তানে নরেন্দ্র মোদি
আকষ্মিক লাহোর সফরে গেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার কাবুল থেকে সরাসরি দিল্লি যাওয়ার কথা থাকলেও হঠাৎই পাকিস্তান যাবার ঘোষনা দেন মোদি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লন্ডন সময় সকাল সাড়ে দশটার দিকে লাহোর বিমনবন্দরে অবতরন করেন তিনি।
আজ শুক্রবার আফগানিস্তানের পার্লামেন্টে যৌথ অধিবেশনে ভাষণ শেষে আকস্মিক এক টুইটার বার্তায় এ ঘোষণা দেন মোদি।
পূর্বঘোষিত কোনো কর্মসূচি না থাকলেও মোদির এ সফরের ঘোষণা বিস্মিত করেছে অনেককে। ভারতের অর্থায়নে কাবুলের পার্লামেন্ট ভবন নির্মাণ করার পর আফগানিস্তান যান মোদি। সেখানে পার্লামেন্টের অধিবেশনে আজ ভাষণ দেন।
আজ সকালেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে ৬৬তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে দিল্লি যাওয়ার পথে লাহোর বিমানবন্দরে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের আগ্রহের কথা জানান। নওয়াজও তার প্রস্তাবে সানন্দে সায় দেন। স্থানীয় সময় দুপুর ৩টার দিকে নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানাতে নওয়াজ শরীফ লাহোর বিমাবন্দরে এসে পৌঁছান।
মোদির লাহোর যাওয়ার আকস্মিক এই ঘোষণায় অনেকে চমকে উঠেছেন। বিশ্লেষকরা এ ঘটনাকে ঐতিহাসিক ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে একটি বড় পদক্ষেপ বলে মনে করছেন। বিজেপির নেতারাও মোদির এ সফরকে স্বাগত জানিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী বিকাশ স্বরূপ বন্ধুত্ব ও ভবিষ্যত সম্পর্ক উন্নয়নকে নিশ্চিত করবে বলে টুইট করেছেন। তবে কংগ্রেসের সাংসদ মনীশ তেওয়ারি মোদির লাহোর যাওয়ার ঘোষণাকে হাস্যকর ও সবচেয়ে খারাপ দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে টুইটারে লিখেছেন, এটি কূটনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে উদ্ভট আচরণ। এর আগে কারগিল সমস্যা নিয়ে অটল বিহারী বাজপেয়ী লাহোর গিয়েছিলেন। এবার কী ঘটল?
গত বছর ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম পাকিস্তানে পা রাখতে যাচ্ছেন মোদি। প্রায় এক যুগের মধ্যে এই প্রথম ভারতের কোনো প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তান সফরে যাওয়ার পথে। গত মাসে দুই প্রধানমন্ত্রী প্যারিসে জলবায়ু সম্মেলনে অনির্ধারিত বৈঠকে মিলিত হন। সেখানে পনের মিনিট তারা একান্তে কথা বলেন। মোদি-নওয়াজ বৈঠকের পর দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা ব্যাংককে বৈঠক করেন। যদিও গোপন ওই বৈঠক নিয়ে বিরোধীপক্ষ থেকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় মোদি প্রশাসনকে। ওই বৈঠকের পরেই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ইসলামাবাদে যান।