আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জিএসসির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ গ্রেটার সিলেট ডেভেলাপমেন্ট এন্ড ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল ইন ইউকের কার্যনির্বাহি কমিটির সভা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ২৪ ফেব্রুয়ারী বার্মিংহামে অনুষ্ঠিত হয় । এইচ এম আশরাফ আহমদের পবিত্র কোরআন তালাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় চেয়ারপার্সন ব্যারিস্টার আতাউর রহমান। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংগঠনের সেক্রেটারি খসরু খান।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন-সংগঠনের পের্টন আলহাজ্ব নাসির আহমদ,চ্যারিটি কো অর্ডিনেটর মুনছব আলী জেপি, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারপার্সন মোঃ ইছবাহ উদ্দীন, কামরুল হাসান চুন্নু, মোঃ ফিরোজ খান, এম.এ.আজিজ, এইচ এম আশরাফ আহমদ, জয়েন্ট সেক্রেটারী ব্যরিস্টার আব্দুল মজিদ তাহের, ফজলুল করিম চৌধুরী, আহসানুজ্জামান আরিফ,সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আসকির বেগ,জয়েন্ট ট্রেজারার ইকবাল আহমদ চৌধুরী ও আবুল কালাম, ইস্ট মিডল্যান্ডের সভাপতি ফখর উদ্দিন, সহ সভাপতি কাজী আঙ্গুর মিয়া, এডুকেশন সেক্রেটারী মঞ্জুর রেজা চৌধুরী, কেন্দ্রিয় প্রেস এন্ড পাব্লিসিটি সেক্রেটারী সুফী সুহেল আহমদ, মেম্বারশীপ সেক্রেটারী এম এ গফুর, স্পোটস সেক্রেটারী আব্দুল মালিক কুটি, ইসি মেম্বার জাহাংগির খান, আব্দুর রজ্জাক প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, আমরাই পৃথিবীর একমাত্র জাতি যারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছি। তাই জাতি হিসেবে আমাদের ভাষার প্রতি অগাধ ভালোবাসার জন্য ইউনেস্কো ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল সেই ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বরে। ২০০০ সাল থেকে প্রতি বছরই জাতিসংঘ সদস্যভুক্ত দেশগুলো ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে যথাযথ সম্মানের সাথে পালন করে আসছে।
২১ শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের নাম এবং এই জাতির ভাষার উপর প্রবল ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জনগণের গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন। এটি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সর্বত্রই সুপরিচিত। বাঙালি জাতির নিজের মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠিত করার আন্দোলনের মর্মান্তিক ও গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতিবিজড়িত একটি দিন হিসেবে ইতিহাসের পাতায় চিহ্নিত হয়ে আছে।
সভা শেষে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের রুহের মাগফেরাত ও সম্প্রতি চকবাজারে অগ্নিকান্ডে নিহতদের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয় । মোনাজাত পরিচালনা করেন আলহ্জ্ব নাসির আহমদ।