আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা কোটা আন্দোলনকারীদের
কোটা সংস্কার ইস্যুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠকদের সাথে সরকার আলোচনার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে সংগঠকরা বলছে, এত প্রাণহানির পর আলোচনার পথ আর খোলা নেই।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বিবিসি বাংলাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “ছাত্র হত্যার বিচার করা না হলে আমাদের আন্দোলন অব্যহত থাকবে”।
গত বৃহস্পতিবার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণার পর এই কর্মসূচিকে ঘিরে দেশজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পরে। এই হামলায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মঙ্গলবার থেকে অর্ধ শতাধিকের বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
টানা দুই দিন শাটডাউন কর্মসূচির পর পরবর্তীতে শনিবার থেকে কোন কর্মসূচি কি অব্যাহত থাকবে?
এই প্রশ্নে মি. ইসলাম বিবিসিকে বলেছেন, “আন্দোলনের বিষয়টি আর কোটা সংস্কারে নেই। এই যে শিক্ষার্থীদের গুলি করে মারা হল, সাধারণ মানুষের ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে, আবাসিক হলগুলো থেকে আমাদের বিতাড়িত করা হয়েছে আমরা এর বিচার দাবি করছি”।
তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন আরো চলবে। তবে নতুন কর্মসূচি শিগগিরই জানানোর কথাও বলেছেন তিনি।
আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সরকারি চাকরিতে কোটা কমিয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়।
তবে এই সংগঠক জানিয়েছেন, কোটা সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ রাখার ব্যাপারে আগে থেকেই তাদের সুপারিশ রয়েছে। তারা সেই আগের অবস্থানেই আছে।
এই আন্দোলনে বিএনপি জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
শুক্রবার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে শিক্ষার্থীদের বাইরেও অনেককে অংশ নিতে দেখা গেছে।
এই ইস্যুতে অন্তত দুই জন সমন্বয়ক বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, কোন রাজনৈতিক দল যদি তাদের সাথে একাত্নতা প্রকাশ করে তার সাথে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোন সম্পৃক্ততা নেই।