বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চলমান পরিস্থিতি ‘আরও শক্ত অ্যাকশন’ নিয়ে দমন করে পরিবেশ উন্নত করবেন বলে বক্তব্য দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। “যত দ্রুত সম্ভব এ অবস্থার পরিবর্তন হবে। অনেকটা শান্ত করে নিয়ে আসতে পেরেছি। অবস্থা আস্তে আস্তে আরও ভালো হবে। যতটুকু ভালো হবে কারফিউও শিথিল হয়ে যাবে,” সোমবার তার কার্যালয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই নেতৃবৃন্দসহ দেশের বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। ব্যবসায়ীরা কারখানা খুলে দেয়া এবং বৈদেশিক বাণিজ্যের সুবিধার্থে স্বল্প পরিসরে ইন্টারনেট চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, কারখানাগুলো ব্যবসায়ীরা খুলতে পারেন, তবে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় তাদেরকেই নিতে হবে। “কারফিউ দিতে বাধ্য হয়েছি জনগণের জানমাল রক্ষার জন্য। আমরা চমৎকার পরিবেশ করেছিলাম ব্যবসার জন্য। কিন্তু যে যে কাজগুলো করেছি সেগুলো পোড়ানো – এটা কোন ধরনের আন্দোলন আমি জানিনা। সব জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শেষ। আগুন দিয়ে যে ক্ষতি করেছে সেগুলো ঠিক করতে সময় লাগবে,” বলেন তিনি। প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনের অংশ হিসেবে ছাত্র বিক্ষোভ শুরু হলে এর এক পর্যায়ে ১৬ই জুলাই সারাদেশে ব্যাপক সহিংসতা শুরু হয়, যা ১৮ ও ১৯শে জুলাই ভয়ানক আকার ধারণ করে। এই দুদিনে সরকারি বেসরকারি নানা স্থাপনায় হামলা হয়েছে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার ১৯শে জুলাই শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সারাদেশে কারফিউ জারি এবং সেনা মোতায়েন করে শিল্প কল-কারখানাসহ সব কিছু বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একই সাথে বৃহস্পতিবার থেকেই ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়।