আলোচনায় আসতে নিজের উলঙ্গ ছবি প্রকাশ করলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত মিস আয়াল্যান্ড প্রিয়তি

Spread the love

12395373_893864274044322_157474694_nবিনোদন ডেস্কঃ নগ্নতা নিয়ে অনেকটা গর্ব করেন এক বাংলাদেশি মেয়ে ।তিনি হচ্ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত মিস আয়ারল্যান্ডখ্যাত প্রিয়তি ।পুরো নাম মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি ।বিমানের প্রশিক্ষক পাইলট হিসেবেও তার একটা অতিরিক্ত পরিচয় রয়েছে । মাত্র ১৩ বছরের প্রবাস জীবনে তিনি এতোটা আধুনিক হয়েছেন যে ইউরোপিয়ান কালচারকে হার মানিয়েছেন । এতোদিন যে প্রিয়তিকে নিয়ে একজন বাংলাদেশি হিসেবে সবাই গর্ব করেছেন, সেই প্রিয়তি না কি এখন নিজের উলঙ্গ ছবি প্রকাশ করে বাংলাদেশের মান সম্মান ক্ষুন্ন করছেন ।

এর আগে আমেরিকায় একটি ইংলিশ কোম্পানির বিজ্ঞাপন চিত্রে সম্পূন্ন উলঙ্গ হয়ে মডেলিং করেছিলেন আরেক বাংলাদেশি মেয়ে । তারও আগে ব্রিটেনে বসবাসরত আরেক বাংলাদেশি মেয়ে হ্যারিপটার ছবিতে অভিনয় করতে বাধা দেয়ায় নিজের পিতা ও ভাইকে কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিলেন এই বাংলাদেশি তরুণী । সম্প্রতি ওই তরুণী পরিবার ত্যাগ করে আমাজন জংগলে সম্পুর্ন উলঙ্গ হয়ে একটি প্রমান্য চিত্রও তৈরী করে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন । অনেকটা গর্বের সাথে তিনি আমাজন জংগলের বাসিনদাকে বিয়ে পর্যন্ত করেছেন বাংলাদেশি এই তরূনী ।সে সময় তার এই অসাভাবিকতা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল । একই পথ ধরে মিস আয়াল্যান্ডখ্যাত প্রিয়তিও এগিয়ে এসেছেন নিজেকে আলোচনায় নিয়ে আসতে ।
যদিও নগ্নতা তার কাছে কোন বিষয় না । প্রিয়তি ফেইসবোকে তার উলঙ্গ ছবি অনেকটা গর্ব করে প্রকাশ করেছেন । প্রিয়তির দাবি তিনি পৃথিবীকে ধংবশের হাত থেকে রক্ষা করতে চান ।পৃথিবীব্যাপী জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে নিজের উলঙ্গ ছবির ফটোশুট করেছেন তিনি । তার মতে বৈশ্বিক উষ্ণতা ও ক্রমাগত জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবী দিন দিন ধ্বংসের মুখে এগিয়ে যাচ্ছে । শরীরে তার ‘গ্যালাক্সি’ আঁকা। নগ্ন শরীর ঢেকে গেছে মহাকাশের রঙে। তারসাথে আছেন আরো বেশ ক’জন। সবাই নিজেদের নগ্ন শরীরে মহাকাশ এঁকে আহ্বান করছেন পৃথিবী রক্ষার। সদ্য মিস আর্থ প্রতিযোগিতায় রানার আপ হয়ে তিনি শুরু করেছেন ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিং অ্যাওয়ার্নেস ক্যাম্পেইন ২০১৫’।

বৈশ্বিক উষ্ণতা, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে তাই প্রিয়তি পৃথিবীর সকল মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তার ‘ক্রাই ফ্রম গ্যালাক্সি ফর আর্থ’-থিমে। এই ফটোশ্যুটে মডেল হয়েছেন প্রিয়তি নিজেই। ছবি তুলেছেন তার টিমেরই পল কোলে। সাজসজ্জায় ছিলেন ক্রিস্টিন এবং সাওয়ার্জ।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশি মিডিয়াকে প্রিয়তি জানিয়েছেন,‘‘মিস আর্থ’-এর রানার আপ হিসেবে আমি দায়িত্ব ও কর্তব্য জ্ঞান করি এই ভেবে যে, জলবায়ু, পরিবেশ এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতাটা তৈরি করে দেয়া দরকার। তাই আমি নিজেই একটা দল গঠন করেছি, এবং বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার করে ক্যাম্পেইন করছি। ইন্ডাস্ট্রিগুলোতেও যাবো। তাদেরকেও এই সচেতনায় অংশ নেয়ার আহ্বান জানাবো। তাদেরকে জীবাশ্ম মানে কয়লা, তেল এবং গ্যাস’এর ব্যবহার কমাতে বলছি। পরিবেশবাদী জিনিষ ব্যবহার করতে তাদের বারবার অনুরোধ করেছি। পাহাড়, বন ধ্বংস কিংবা না কাটার ক্যাম্পেইনও চালিয়ে যাচ্ছি, এবং যাবো।”

এছাড়াও পরিবেশ রক্ষার এই যুদ্ধে সবাইকে সামিল হওয়ারও আহ্বান জানান প্রিয়তি। এ সম্পর্কে তিনি পৃথিবীর মানুষের উদ্দেশে বলেন, ‘গত দেড়শো বছর ধরে আমরা আমাদের পৃথিবীর এই জলবায়ুর পরিবর্তনের মধ্যেই বসবাস করে। আমাদের এই পৃথিবীর ভারসাম্য পরিবর্তন করেছি। আমরা জীবাশ্ম মানে কয়লা, তেল, গ্যাস উৎপাদনে বিপুল পরিমাণ বন পুড়িয়ে শেষ করেছি। এমন পরিবেশ বিরোধী প্রক্রিয়ায় গ্লোবাল ওয়ার্মিং বেশিরভাগই মানুষের দ্বারা সৃষ্টি হয়। তাই আসুন আমাদের পৃথিবী আমরাই সংরক্ষণ করি এবং আপনারাও করুন।’

12313756_926051537475019_3700109356368903605_nউল্লেখ্য, প্রিয়তি বাংলাদেশে ‘মিস আয়ারল্যান্ড’ হিসেবেই বেশী পরিচিত। কারণ গত বছর ‘মিস আয়ারল্যান্ড’ খেতাব পাওয়ার পরই যে তিনি আলোচনায় আসেন! তবে সে পরিচয় বোধয় বদলে যাওয়ার সময় হয়েছে। চলতি বছরের অক্টোবরে দ্বীপরাষ্ট্র জ্যামাইকাতে অনুষ্ঠিত ‘মিস আর্থ’ প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়েছেন যে তিনি! পেশায় বৈমানিক এই শিল্পী ২০০২ সালে চলে আসেন আয়ারল্যান্ডে। ব্যক্তিগত জীবনে দুটি বিয়েও করেছেন এই তারকা । তার দুটি সন্তানও রয়েছে । ঢাকার ফার্মগেটে তার দাদার বাড়ি হলেও তিনি পড়ালেখা করেছেন তেজগাঁও বালিকা স্কুল , আইডিয়াল কলেজ এবং ধানমন্ডি ইবাইস ইউনিভার্সিটি তে । তারপর তিনি পাড়ি দেন বিদেশে ।


Spread the love

Leave a Reply