আসুন সিংহের মতো বেঁচে থাকি এই বিলেতে!
বাংলাদেশিদের অপমান করে লেবার নেতা স্যার কিয়ার স্টারমার চরম ডানপন্থী সান সমর্থকদের জয় করে ফেলেছেন। সান প্রকাশ্যে ২০০৫ এর পর প্রথম বার লেবার কে সমর্থন দিচ্ছে। কিয়ার স্টারমার তার নিরন্কুশ সংখ্যাগরিষ্টতা নিশ্চিত করেছেন আমাদের কোরবানি দিয়ে, এর জন্য জেরেমি করবিন এর মতো মানবতাবাদী নেতা এদেশে প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। কারণ মানবতা এদেশে বিসর্জনে এবং চরমপন্থা আজ সিংহাসনে। ২০১২ সালে ইস্ট লন্ডনে জেরেমি করবিন একটি প্রোগ্রামে এসে সান এর ব্যাপারে প্রধান দলগুলোর নেতাদের ভয়ের কথা তুলে ধরেছিলেন।
কিন্তু এবার স্টারমার এর বক্তব্যের পরে বাংলাদেশিরা যেভাবে প্রায় ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ দেখিয়েছেন তা অভাবনীয়! প্রায় প্রতিটা বড় সংগঠন কঠিন ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মেরুদন্ড সম্পন্ন এমপি প্রতিবাদ জানিয়েছেন, স্থানীয় লেবার কাউন্সিলর ও লেবার ডেপুটি লিডার সাবিনা বেগম পদত্যাগ করেছেন, কাউন্সিলর রেবেকা সুলতানা কঠোর ভাষায় প্রতিবাদ করেছেন।
আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা দিন রাত খেটে এই সংবাদগুলো প্রচার করেছেন, এর জন্য শত বছরের পুরোনো জাতীয় পত্রিকা ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড ভুল হেডলাইন পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে। সবকিছু বাদ দিয়ে বাংলাদেশ শিরোনাম হয়েছে। বার বার প্রশ্নের সম্মুখীন হযেছেন হবু প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে। বাংলাদেশি টিভি এটিএন কিয়ার স্টারমারের সাক্ষাৎকার নিয়ে সারা ফেলেছে এই বিতর্কের মোক্ষম সময়ে।
বিবিসি বাংলাদেশ নিয়ে পজিটিভ নিউজ করেছে. তারা বলেছে .২০২৩ সালে মাত্র ১২ জন এসাইলাম সিকারদের ধরে পুলিশ বাংলাদেশে পাঠিয়েছে এবং ৬৬ জন এসাইলাম সিকার স্বেচ্ছায় এদেশ ত্যাগ করেছেন, তাহলে কেন শান্তিপ্রিয় বাংলাদেশিদের উপর এই অপমান।
জাতীয় টিভি বিবিসি ও আইটিভি ধরে এনে লেবার শাডো মিনিস্টারদের তাপ্পর দেয়ার মতো বলেছে ইরান ও আফগানিস্তান প্রধানতম এসাইলাম সিকার দেশ হলে ও কেন একমাত্র বাংলাদেশের দিকে আঙ্গুল তোলা হলো? টু শব্দ করতে পারেন নাই লেবার নেতারা। আমাদের ঢোল জাতীয় টিভিগুলো বাজিয়েছে, এর চেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে। আমাদের বাপ্ দাদারা যে বাঘ এর মতো এদেশে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে টিকে ছিলেন, আর বর্তমানের শান্তিপ্রিয় বাংলাদেশিদের মিথ্যা অপবাদে গর্জে উঠেছেন বাংলাদেশি সহ জাতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো। আমরা কত শান্তিপ্রিয় বিলেতবাসী বাংলাদেশি তা আরেক হিসাবে এসেছে. এদেশে মাত্র .১৬২ জন বাংলাদেশি নাকি জেলে আছেন।
চরম ডানপন্থীরা এগিয়ে আসছে বিলেতে, সাথে সাথে এগিয়ে আসছে ইউরোপে. তাই নিজেদের অধিকার আদায়ে আমাদের দল, মত ও পথ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি. তাই যারা চেয়ার আর ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বেড়ালের মতো বেঁচে আছেন, তাদের বলবো আসুন আমরা আমাদের বাপ্ দাদাদের পথ অনুসরণ করে বাঘ এর চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে সিংহের মতো বেঁচে থাকি, এবারের বিলেতের জাতীয় নির্বাচন আমাদের সে সুযোগ করে দিয়েছে।