ইউক্রেন জুড়ে রাশিয়ার নতুন মিসাইল হামলা, হতাহতের শঙ্কা
ডেস্ক রিপোর্টঃ রাশিয়া ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে আবার মিসাইল হামলা চালিয়েছে এবং ঐ শহরের কেন্দ্রের কাছাকাছি বিভিন্ন আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
এতে এখন পর্যন্ত একজন নিহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিচকো জানাচ্ছেন, শহরের পেচেরস্ক এলাকার তিনটি ভবনে আঘাত হানা হয়েছে।
এই হামলা এমন এক সময়ে হলো যখন ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন থেকে বিশ্ব নেতারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রুশ অভিযানের নিন্দা জানিয়েছেন।
ঐ সম্মেলনে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ একটি বিমানে চড়ে বালি ছেড়ে যাওয়ার পর পর এই হামলা চলে বলে খবর পাওয়া গেছে।
কিয়েভে বেশ ক’টি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে ভূপাতিত করা হয়েছে এবং উদ্ধারকারী দল কাজ করেছ বলে মি. ক্লিচকো জানান।
এসব হামলার পর সারা দেশে বিমান হামলার সতর্কতা জারি করা রয়েছে।
আরেকজন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তার পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি পাঁচতলা আবাসিক ভবনে আগুন জ্বলছে।
মিকোলায়েভ ও ওডেসাসহ অন্য শহরেরও কয়েকদফা মিসাইল আক্রমণ হয়েছে।
খারকিভ ও লাভিভ শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। লাভিভের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ চলে গেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, সারা দেশে রাশিয়া প্রায় ৮৫টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। আরও ২০টি আঘাত হানতে পারে বলে হুঁশিয়ার করেছেন।
চেরনিহিভের গভর্নর ভিয়াচেস্লাভ চাউস মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে সতর্ক করে বলেছেন, “ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রয়েছে।
রুশ অভিযানের নিন্দায় বিশ্বনেতারা
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের তীব্র নিন্দা করে সেখানে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার বা ব্যবহারের হুমকিকে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
ঐ সম্মেলনের এক খসড়া ঘোষণা, যা সাংবাদিকদের হাতে এসেছে, তাতে এ কথা বলা হয়।
তবে প্রেসিডেন্ট পুতিনের পরিবর্তে ঐ সম্মেলনে যোগদানকারী রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো জি-২০ জোটের এই ইস্তাহারকে ‘রাজনীতিকীকরণ’ করার চেষ্টা করেছে।
ইন্দোনেশিয়ার বালিতে এই সম্মেলনে বিশ্ব অর্থনীতি এবং বৈশ্বিক খাদ্য সরবরাহের ওপর ইউক্রেন যুদ্ধের যে প্রভাব পড়েছে, তা ছিল আলোচনার অন্যতম প্রধান বিষয়।
এর যে খসড়া ঘোষণাটি সাংবাদিকরা দেখেছেন তাতে বলা হয়, জি-২০’র টুয়েন্টির অধিকাংশ সদস্যই রাশিয়ার ইউক্রেন অভিযানের তীব্র নিন্দা করছে এবং সেখানে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার বা ব্যবহারের হুমকিকে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলে বর্ণনা করা হয়।
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এ সম্মেলনে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে ভাষণ দিয়েছেন।
তাতে তিনি বলেন তার দেশের বিরুদ্ধে মস্কোর এ যুদ্ধ বন্ধ করা সম্ভব এবং তা করতে হবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন রাশিয়াকে ইউক্রেনের সব ভূখণ্ড থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে এবং ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকও রাশিয়ার এই যুদ্ধের তীব্র নিন্দা করেছেন এবং রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভকে সরাসরি বলেছেন যে তার দেশের উচিত ইউক্রেন ত্যাগ করা।
মি. লাভরভ বালিতে এসে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ইউক্রেনে “কথা বলতে অস্বীকার করছে এবং অবাস্তব দাবিদাওয়া তুলছে” এবং তার ফলে একটি ঐকমত্যে পৌঁছানো কঠিন হয়ে উঠছে।