ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্বাধীনভাবে চলাফেরা কাজের জন্য: বেনিফিটের জন্য নয়
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ সানডে টাইমসে থেরেসা মে প্রচলিত ইমিগ্রেশন সমস্যা, ক্যালাইসে মানব স্রোত, লিবিয় উপকুলে নৌকা দিয়ে ইউরোপ আসা- ইত্যাদির প্রেক্ষিতে ব্রিটিশ হোম সেক্রেটারি থেরেসা মে এক নিবন্ধ লিখেছেন, যেখানে এই সমস্যাগুলো নিয়ে তার এবং কনজারভেটিভ সরকারের নীতি-মনোভাব ফুটে উঠেছে। থেরেসা মে লিখেছেন, স্বাধীনভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নে চলাচল মানেই হলো স্বাধীনভাবে কাজের সন্ধানে চলাচল, বেনিফিট বা হাউজিং বেনিফিট নেয়ার উদ্দেশ্যে চলাচল নয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কন্টেক্সেটে এই ফ্রি মুভম্যান্টের কথাটাই থেরেসা মে তার নিবন্ধে তুলে ধরেছেন। সেই সাথে তিনি লিখেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোন সীমানা বর্ডার না থাকায় এই অবস্থার সৃস্টি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন।
থেরেসা মে এমন এক সময় এই মন্তব্য করেছেন, যখন ব্রিটেনের নেট মাইগ্রেশন সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৩৩০,০০০ হয়েছে এবং বিশ্ব এখন অবৈধ অভিবাসীদের স্রোত ব্রিটেন সহ ইউরোপের দিকে আসছে প্রতিনিয়ত দেখছে।
এদিকে ডাউনিং ষ্ট্রীটের মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, ডেভিড ক্যামেরন ইউরোপীয় ইউনিয়ন সংস্কারের ব্যাপারে আলোকপাত করার জন্য স্পেন এবং পর্তুগাল সফরে যাবেন। তিন লিসবনে পর্তুগালের প্রাইম মিনিস্টার পেড্রো প্যাসেলো কোহলে এবং মাদ্রিদে স্পেনের প্রাইম মিনিস্টার মারিয়ানো রাজোর সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে উভয় দেশের মুখপাত্র কনফার্ম করেছেন।
ইইউ ফ্রি মুভম্যান্টের ফাউন্ডামেন্টাল যে বিষয় সেটা হলো কোন নাগরককে ফ্রি মুভম্যান্টের ব্যাপারে সদস্য দেশসমূহের কোন দেশই রুখতে পারবেনা, এবং কাজের সন্ধান থেকেও বিরত রাখা যাবেনা।
যারা কাজ খুজবেনা, তারা প্রথম তিন মাস পর্যন্ত থাকতে পারবে- তাতে বাঁধা দেয়া যাবেনা এবং পেনশনার যারা আছেন তাদেরকেও ফ্রি মুভম্যান্টের ব্যাপারে আটকানো বা বাঁধা দেয়া যাবেনা- যতক্ষণ না তাদের জন্য ভাল হেলথ ইন্স্যরেন্স এর ব্যবস্থা এভেইলেবল আছে এবং কোন রকম সাহায্য ছাড়া তারা থাকতে পারবেন বলে প্রতীয়মান হয়।
ডেভিড ক্যামেরন চাচ্ছেন নেগোসিয়েশন করতে যাতে ইইউ নাগরিকেরা ব্রিটেনে এসে বেনফিট ক্লেইমের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি ও রেসট্রিকশন করতে বলে থেরেসা মে উল্লেখ করেছেন।
থেরেসা মে ব্রিটেনে ছাত্র-ছাত্রী মাইগ্রেশনের ব্যাপারে লিখেছেন এই সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা তারা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনতে চান, কেননা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইতোমধ্যে ইইউ ছাত্র ছাত্রী মাইগ্রেন্ট দ্বিগুণ হয়ে আছে। তিনি লিখেছেন, এই ছাত্র-ছাত্রী মাইগ্রেশন গত বছর মার্চ পর্যন্ত ১২,০০০ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১৮৮,০০০ হয়েছে।
তিনি লিখেছেন, এদের অনেকেই শর্ট টার্মের জন্য এখানে আসেনি। সরকার চাচ্ছে এই শর্ট টার্ম এবং পার্মানেন্ট সেটেলম্যান্টের মধ্যকার অবস্থান ভেঙ্গে দিতে।
তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্যে বর্তমান অবস্থাকে একটি ওয়েক-আপ কল হিসেবেও উল্লেখ করেছেন। ( সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ :লন্ডনবিডিনিউজ২৪ সৌজন্যে )