ইসরায়েল আর হামাসের লড়াইয়ে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ১৮০০, আহত কয়েক হাজার মানুষ

Spread the love

ডেস্ক রিপোর্টঃ ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন দেয়ার কথা জানিয়েছেন সৌদি আরবের অঘোষিত শাসক – ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।

হামাসের গণহত্যার চালানোর পেছনে ইসরায়েল দায়ী বলে জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি। তিনি বলেছেন: “যারা ইহুদিবাদী শাসকদের উপর হামলার পরিকল্পনা করেছে আমরা তাদের হাতে চুম্বন করি।” তবে তিনি হামাস যোদ্ধাদের হামলার পেছন ইরানের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।

·ইসরায়েলকে মার্কিন সমর্থন দেয়ার বিষয়ে আলোচনা করতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। ব্লিঙ্কেন বলেছেন “সব জিম্মিদের মুক্তি অবিলম্বে নিশ্চিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।”

·ফিলিস্তিনি মৃতের সংখ্যা ৭৫০ ছাড়িয়েছে, আহত চার হাজারের বেশি, জানিয়েছে সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পশ্চিম তীরে সংঘর্ষে ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত।

·ইসরায়েলি মৃতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইসরায়েলি দূতাবাস এই তথ্য জানিয়েছে।

·ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী- আইডিএফ বলছে, ইসরায়েলে এবং গাজা উপত্যকার আশপাশে দেড় হাজার হামাস যোদ্ধার লাশ পাওয়া গেছে।

·জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান বলেছেন, ইসরায়েল থেকে অপহরণের পর গাজায় “১০০ থেকে দেড়শ জনকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে।”

·সোমবার সন্ধ্যায়, হামাস হুঁশিয়ারি দেয় যে যদি ইসরায়েল কোন সতর্কতা ছাড়া বিমান হামলা চালিয়ে যায় তাহলে তারা ইসরায়েল থেকে আটক করা জিম্মিদের হত্যা করবে। তাদের এই হুমকির তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পশ্চিমা নেতারা।

·যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত জিম্মিদের নিয়ে আলোচনায় যাবে না বলে জানিয়েছে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ।

·রাতভর হামাসের অন্তত ২০০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ৩৫টি ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করা হয়েছে।

·গাজা উপত্যকা জুড়ে এক লাখ ৮৭ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে – এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাতিসংঘের ৮৩টি স্কুলে এক লাখ ৩৭ হাজার ৫শ মানুষকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।

· ইউনিসেফ গাজার ভেতরে এবং বাইরে একটি মানবিক করিডোর স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছে, কারণ ইসরায়েল জ্বালানি, বিদ্যুৎ এবং পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে গাজার হাসপাতালগুলো।

·গাজার জ্বালানি কয়েক দিনের মধ্যে ফুরিয়ে যেতে পারে, এতে বিদ্যুতের অভাবে অন্ধকারে ডুবে যেতে পারে গাজা উপত্যকা – জাতিসংঘ

·ইসরায়েলি বোমা হামলার কারণে মিশরের রাফাহ ক্রসিং বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এটাই অবরুদ্ধ গাজা থেকে মানুষের বেরিয়ে আসার একমাত্র পথ। এছাড়া ইসরায়েলও গাজার সঙ্গে তাদের সীমানা বন্ধ করে দিয়েছে।

·ইসরায়েল ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘাতের কারণে মধ্যপ্রাচ্য থেকে জ্বালানি তেলের সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে এমন উদ্বেগের কারণে তেলের দাম বেড়ে গিয়েছে।


Spread the love

Leave a Reply