ইস্ট লন্ডনের জামেয়াতুল উম্মাহ স্কুলের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদের অভিযোগ
বাংলা সংলাপ ডেস্ক : অফস্টেড ইন্সপেকশনের তদন্ত রিপোর্টেও কারণে আবার আলোচনায় এসেছে ইস্ট লন্ডনের জামেয়াতুল উম্মাহ স্কুল। স্কুলের লাইব্রেরীতে এমন কিছু বই পাওয়া গেছে যেগুলোতে জঙ্গীবাদকে উৎসাহ দেয়া হয় বলে মনে করছে অফস্টেড। এর মধ্যে একটি বইয়ে পাথর নিক্ষেপের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এবং ইনইক্যুয়ালিটি অব উইমেন এবং ইলিগ্যাল পানিশম্যান্ট শিরোনামে অপর ৩টি বই পাওয়া গেছে বলেও দুই সপ্তাহ আগে প্রকাশিত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। যদিও লাইব্রেরীটি ২০১৫ সালের জুলাই মাস থেকে বন্ধ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। তবে বন্ধ করার আগে লাইব্রেরীতে শিক্ষার্থীদের প্রবেশের সুযোগ ছিল বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেন অফস্টেড ইন্সপেক্টর। এছাড়াও শুধুমাত্র ছেলেদের জন্য নির্ধারিত প্রাইভেট সেকেন্ডারী স্কুলের বার্ষিক ফিস ৩ হাজার ৪শ পাউন্ড করে নেয়া হচ্ছে, যা বৃটিশ আইনের পরিপন্থী বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। সেকেন্ডারী স্কুলে ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সের ১শ ৫৮ জন ছাত্র রয়েছেন।
টাওয়ার হ্যামলেটসের জামেয়াতুল উম্মাহ স্কুলে গত বছরের ২৫শে অক্টোবর এক সংক্ষিপ্ত তদন্ত শেষে প্রকাশিত রিপোর্টে এসব অভিযোগ উল্লেখ করেছে অফস্টেড। এটি ছিল জামেয়াতুল উম্মাহ স্কুলে অফস্টেডের তৃতীয় ইন্সপেকশন। এরআগে ২০১৪ সালের অক্টোবর এবং ২০১৫ সালের জানুয়ারীতে তদন্ত করে অফস্টেড।
জামেয়াতুল উম্মাহ স্কুল ২০১১ সালের জানুয়ারীতে আউট স্ট্যান্ডিং রেইট পায় অফস্টেড থেকে। এর আগে ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে অফস্টেড সেটিসফেক্টরি রেইট দিয়েছিল।
এদিকে অফস্টেডের সর্বশেষ রিপোর্টে প্রকাশিত জঙ্গিবাদ প্রসঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছে জামেয়াতুল উম্মাহ স্কুল। স্কুলের এক মূখপাত্র জানিয়েছেন, জামেয়াতুল উম্মাহ স্কুল জঙ্গীবাদ বা কট্টরপন্থার সম্পূর্ন বিরোধী। অফস্টেড রিপোর্টে উল্লেখিত সব ধরনের জঙ্গীবাদ এবং চরমপন্থার বিরুদ্ধে জামেয়াতুল উম্মার অবস্থান। অফস্টেডের রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী জঙ্গীবাদ সংশ্লিষ্ট কিছু বই লাইব্রেরীতে পাওয়া যেতে পারে উল্লেখ করে জামেয়াতুল উম্মার মুখপাত্র বলেন, লাইব্রেরী বন্ধ রয়েছে গত বছরের জুলাই থেকে। যা রিপোর্টেও উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে শিক্ষার্থীদের প্রবেশের সুযোগ নেই। এমন কি রিপোর্টে যে সমস্ত বইয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেসব বইয়ের ভেতরে যা আছে, তার প্রতিফলন স্কুলের মধ্যে কখনো নেই। স্কুলের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য ও আদশর্ও তা নয়, এটা পরীক্ষিত। স্কুলের রেজাল্টের কারণে ২০১১ সাল অফস্টেড থেকে আউট স্ট্যান্ডিং রেইট পেয়েছে জামেয়াতুল উম্মা স্কুল। অফস্টেডের নির্দেশ অনুযায়ী শিঘ্রই প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান জামেয়াতুল উম্মার মূখপাত্র।