ইয়েমেনে ত্রিমুখী সংঘর্ষে ২২ জন নিহত

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্ক:

ইয়েমেনের বন্দর নগরী এডেনে সরকারী বাহিনীর সঙ্গে আল-কায়েদা ও আইএস যোদ্ধাদের ত্রিমুখী সংঘর্ষে পুলিসসহ অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছে। এবিসির খবরে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে ১৭ জনই জঙ্গি সদস্য। এছাড়া ৩ পুলিশ ও দুই বেসামরিক নাগরিকও নিহত হয়েছেন।

নিরাপত্তা সূত্রগুলো বলছে, তাদের সহায়তায় সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী জঙ্গি বিমান ও এ্যাপাচি হেলিকপ্টার থেকে চার দফা বিমান হামলা চালিয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা নতুন চেক পয়েন্ট বসানোর পর শনিবার রাতে এই বন্দর নগরীর আবাসিক এলাকা মানসুরায় সংঘর্ষ ঘটে।

আল-কায়েদার পতাকাবাহী বেশ কয়েকজন বন্দুকধারী ওই পুলিশকে পিছু হটিয়ে ওই এলাকায় ঢুকতে চেষ্টা করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। হামলাকারীরা মুখোশ পরে ছিল। পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের এই অস্থায়ী রাজধানীর অধিবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত মানসুরায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, বিমান থেকে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রগুলো পৌরসভার একটি অফিস ও জিহাদিদের একটি অস্ত্রাগারে আঘাত করেছে। জিহাদিরা একটি এ্যাপাচি হেলিকপ্টারকে লক্ষ্য করে গুলি করার পরই বিমান হামলা চালানো হয়।

আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেট গ্রুপ ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহী ও সরকারপন্থী বাহিনীর মধ্যকার চলমান গৃহযুদ্ধের সুযোগ নিয়ে এডেনসহ দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে নিজেদের শক্তি বাড়িয়েছে।

সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, শনিবার সরকারি বাহিনী দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় তিয়াজ নগরীতে বিদ্রোহীদের মাসব্যাপী অবরোধ ভেঙ্গে দিতে হামলা জোরদার করেছে। নগরীর উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে বলে জানিয়েছে তারা।

ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদেরকে পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকণ্ঠ থেকে হটিয়ে দেয়ার একদিন পর উভয়পক্ষের মধ্যে আবার এই লড়াই শুরু হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট আব্দেরাব্বো মানসুর হাদির অনুগত বাহিনী ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলীয় উপকন্ঠের ‘গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোকে পুনরায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে’ আনতে সক্ষম হয়েছে। তবে এই সব এলাকাগুলোয় উভয়পক্ষের মধ্যে প্রচন্ড লড়াই চলছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। সূত্রটি আরো জানায়, পূর্বাঞ্চলীয় অংশের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করা আরো কঠিন হবে।

এই অংশটি রিপাবলিকান গার্ডের দখলে রয়েছে। এই এলিট ইউনিটটি সাবেক প্রেসিডেন্ট ও হুদির মিত্র আলি আব্দুল্লাহ্ সালের অনুগত।


Spread the love

Leave a Reply