একটি দুর্ঘটনা, একটি অধ্যায়ের অনাকাক্ষিত পরিসমাপ্তি
দেশ বিভাগের আগ থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বা ক্রান্তিকালে দেশের ছাত্র সমাজ রেখেছে কালজয়ী ভূমিকা। আমরা দেখেছি ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান জন্মের সময়ে, ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু হওয়া ৫২র ভাষা আন্দোলন, ৫৪র যুক্তফ্রন্ট, ৬৯র গণ অভ্যুত্থান, ৭১র স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং ৯০র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও ভূমিকা। ঠিক একইভাবে দেখেছি ২০১৮ সালের জুলাই মাসে “নিরাপদ সড়ক চাই” ছাত্র আন্দোলন। সে সময়ে ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছাত্ররা রাস্তায় নেমে এসেছিলো নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোল করতে। ঠিক একইভাবে গত কয়েকদিন আগে আন্দোলন দেখেছি দেশের স্বনামধন্য নটর ডেম কলেজের ছাত্র নাঈম হাসানের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার পরে। সম্প্রতি সময়ের দুটি সাড়া জাগানো ছাত্র সংগ্রামই ছিল “নিরাপদ সড়ক চাই” আন্দোলন কেন্দ্রিক। তবে বাংলাদেশে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন সর্ব প্রথম শুরু করেছিলেন চিত্র নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রথম স্ত্রী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার পর থেকেই, তিনি শুরু করেন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন, ৯০র দশকের শেষের দিক থেকে, আজও তার আন্দোলন চলমান। কিন্তু ফলাফল কাঙ্খিত নয়। হয়তোবা কিছুটা জনসচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে ছাত্ররা রাস্তায় নেমে ট্রাফিক ওয়ার্ডেনের দায়িত্ব পালন করেছে, তাদের এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় দেশবাসী খুব উষ্মার সাথে অবলোকন করেছে; যারা যত বেশী দায়িত্ববান তারা ততো বেশী দায়িত্বজ্ঞানহীন, কান্ডজ্ঞানহীন এবং উদাসীন। অবস্থচিত্রে দেখা গেছে প্রধামন্ত্রীর দপ্তরে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দপ্তরে, সংসদ সদস্যের, সচিবালয়ের উর্ধনতন কর্মকর্তার, পুলিশের, বিচারকের, নায়ক-নায়িকাদের, সেলিব্রেটি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের, শ্রমিকনেতার, গাড়ির মালিক সমিতির, পরিবহন সমিতির নেতা আর সরকারদলীয় কর্মকর্তার ড্রাইভারের লাইসেন্স নেই অথবা গাড়ির কাগজপত্র ঠিক নেই।আবার কখনো লাইসেন্স আছেতো কাগজপত্রের হাদিস নেই, আবার গাড়ীর কাগজ আছে, তো ড্রাইভারের লাইসেন্স নেই ইত্যাদি ইত্যাদি। তা দেখার যেন কেউ নেই, চলছে যে যার মতো করে, যেন চলছে গাড়ি যাত্রাবাড়ী।এ যেন এক হযবরল অবস্থা, এক বিশৃঙ্খল পরিবেশ।
খাদ্য, বস্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার মতোই নিরাপদে বাসায় ফেরা বা গন্তব্যে ফেরা বা কাজ শেষে মায়ের কোলে ফেরা, এক সহজাত অধিকার বা মৌল মানবিক অধিকার। উন্নত দেশসমূহ বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্ব, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, এমনকি সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া মানুষের মৌলিক অধিকারের পাশাপাশি নিরাপদে চলার অধিকারকে নিশ্চিত করতে পেরেছে।এই সমস্ত দেশে কখনো দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করার জন্য জনগণকে আন্দোলন সংগ্রাম করতে হয় না। দায়িত্বশীল সরকার তাদের নিজ নিজ দায়িত্বে দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতির লাগামকে টেনে ধরে, দ্রব্যমূল্যকে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ও সহনীয় মাত্রায় রাখে। ঠিক একইভাবে এই সমস্ত দেশের সরকার তার জনগণের জানমালের নিরাপত্তার সাথে সাথে নিরাপদে রাস্তায় চলাচলের গ্যারান্টি দিয়ে থাকে, তাই সেখানে দেখা যায় না নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন, দেখা যায় না ছাত্ররা বই পুস্তক রেখে রাস্তায় নেমে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব নিজ হাতে তুলে নিয়ে গাড়ির কাগজপত্র ও ড্রাইভারের লাইসেন্স চেক করা। থাকে সে কথা।
বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা, যানবাহনের দুর্ঘটনা, ট্রেন দুর্ঘটনা, এমনকি লঞ্চ দুর্ঘটনা এবং নৌকাডুবি যেন বেড়েই চলছে, আর পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল।বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্বাবিদ্যালয় (BUET)এর এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (ARI)গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশে গত দুই দশকে ৫৮২০৮ জন শশুধুমাত্র সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে, যা প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৭ জন। ARI বলেছে বাংলাদেশের প্রায় ৪৩% দুর্ঘটনা ঘটে দূরপাল্লার সড়কে।
তবে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সংস্থার (BPWA)পরিসংখ্যানতো আরো ভয়ঙ্কর।তাদের মতে ২০২০ সালে মোট ৪৮৯১টি সড়ক দূর্ঘটনা ঘটেছে, এতে প্রানহানি ঘটেছে ৬৬৮৬ জনের এবং আহত হয়েছে ৮৬০০ জন। এর মানে হলো ২০২০ সালে বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে ১৮ জনের মতো লোক শুধুমাত্র সড়ক দুঘটনায় নিহত হয়েছে।ঠিক একই সময়ে ৩২৩ জন ট্রেন দুর্ঘটনায়, ৩১৮ জন নিহত এবং ৭৯ জন আহত হয়েছে। লঞ্চ দুর্ঘটনা বা নৌকা ডুবির সংখ্যা ছিল ১৮৩টি যেখানে ৩১৩ জন নিহত, ৩৪২ জন আহত এবং ৩৭১ জনের কোনো হদিস ছিলোনা। তাদের মতে ২০১৯ সালের তুলনায় ৬.৭৮% দুর্ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ২০২০ সালে।অন্যদিকে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন (RSF)নামক সংস্থা বলেছে ২০২১ সালের জানুয়ারী মাসে ৪২৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৮৪ জন নিহত, ৬৭৩ জন আহত; যা কিনা দুর্ঘটনার মাত্রা গত বছর একই সময়ের তুলনায় ২৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এক্ষেত্রে ঢাকা ডিভিশনে দুর্ঘটনার হার সবচেয়ে বেশী এবং সিলেট অঞ্চলে সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (BRTA)মতে দেশে রেজিস্টার যানবাহনের সংখ্যা হলো ৩.৩ মিলিয়ন যেখানে লাইসেন্সধারী ড্রাইভারের সংখ্যা হলো প্রায় ২ মিলিয়ন, অর্থাৎ প্রায় ১.৩ মিলিয়ন গাড়ি চলে লাইসেন্স বিহীন ড্রাইভারের হাতে।
সমগ্র বাংলাদেশে BRTA অনুমোদিত ১২৯টি ড্রাইভিং সেন্টারের রেজিস্ট্রেশন থাকলেও, শুধুমাত্র ঢাকা শহরে অবৈধ ও অনুমোদনহীন ড্রাইভিং সেন্টারের সংখ্যায় রয়েছে ৩০০ টির উপরে।পুলিশ ও প্রশাসনের নাকের ডগায় তারা ফিটনেস বিহীন গাড়ি দিয়ে এবং অবৈধ ভাবে লাইসেন্স প্রদানের ব্যাবস্থাকরণের মাধ্যমে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ ব্যাবসা পরিচালনা করছে। অজানা ও প্রকাশিত কারণে প্রশাসন এক্ষেত্রে নীরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছে।
বিভিন্ন গবেষণা পত্রের তথ্য উপাত্ত ঘাটাঘাটি করে বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ সমূহের মধ্যে রয়েছে বিকল ও রাস্তায় চলাচলের অনুপযুক্ত গাড়ী দিব্যি রাস্তায় চলাচল করা, লাইসেন্স বিহীন ড্রাইভের সংখ্যা বৃদ্ধি, রেকলেস ড্রাইভিং এবং ট্রাফিক আইন না মেনে চলা, দুর্ঘটনায় জড়িত ড্রাইভারদের উপযুক্ত শাস্তি না হওয়া, আইনের ফাঁকফোকর অভিযুক্ত ড্রাইভার নিমিষে বের হয়ে যাওয়া, পরিবহন মালিকদের দৌরাত্ম, কথায় কথায় জনগনকে জিম্মিকরে ড্রাইভারদের আশকারা দেওয়া, ড্রাইভারদের মাদক এবং যৌন অপরাধের সাথে যুক্ত থাকা, ড্রাইভারদের পর্যাপ্ত ট্রেনিংযের অভাব, রাস্তায় দোকানপাট বসানো, ফুটপাত দখল করা এবং চাঁদাবাজি করা, ড্রাইভিংয়ের সময়ে মোবাইল ব্যবহার করা, ড্রাইভারদের মুজুরি কম হওয়ায় অধিক শ্রমঘণ্টা কাজ করা, অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন, প্রতিযোগিতার মাধ্যমে গাড়ী চালানো, সংস্কারবিহীন ও লেন বিহীন রাস্তা, কম টেকসই কাঁচামাল দিয়ে রাস্তা নির্মাণ এবং প্রতিনিয়ত রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি, রাস্তায় পুলিশী আর ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি, পুলিশের চাঁদাবাজি, সড়ক নির্মাণে দুর্নীতি, এবং প্রশাসনের নির্লিপ্ততা ইত্যাদি বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার সাথে ওৎপ্রোতভাবে জড়িত।
বাংলাদেশ আজ স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উৎযাপন করছে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে আজ দেশটি সমস্যাগ্রস্থ, প্রতিদিন প্রায় ১৮ জন লোক মারা যাচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনায়।বাংলাদেশে হাতেগোনা যে ১০-১২টি বড় সমস্যা রয়েছে তার মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা অন্যতম। সরকার যদি একটি দীর্ঘমেয়াদি এবং দুর্নীতিমুক্ত পরিকল্পনা হাতে নেয়, তাহলে মাত্র ৫ বছরের মধ্যেই সড়ক দুর্ঘটনার হার এক অংকের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আরো যে সমস্ত কাজ করা যায় তা হলো; মানুষের মধ্যে বিশেষ করে ছাত্রবস্থায় ট্রাফিক আইন মেনে চলার ট্রেনিং হাতে কলমে দেয়া, ড্রাইভারদের পর্যাপ্ত ট্রেনিংয়ের ব্যাবস্থা করা, আইনমেনে চলতে ড্রাইভারদেরকে উদ্বুদ্ধ ও বাধ্য করা, রাস্তায় সিসি টিভি বসানো, ড্রাইভারদের পর্যাপ্ত বিশ্রামের ব্যাবস্থা করা, জনগণকে আইনমেনে চলতে উৎসাহিত করা, পর্যাপ্ত ফুটওভার ব্রীজ তৈরী করা এবং জনগণকে তা ব্যাবহার করতে উৎসাহিত করা, উদ্বুদ্ধ এবং প্রয়জোনে বাধ্য করা, সময়পোযুক্ত ট্রাফিক আইনের প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা, প্রচলিত ট্রাফিক আইনের সংশধোন করা, পুলিশ ও ট্রাফিক সার্জনদের নৈতিক মুল্যবোধের মানোয়ন্নন এবং বেতন বৃদ্ধি করা, পরিবহন খাত নিয়ে রাজনীতি বন্ধ করা, অবৈধপথে ড্রাইভিং লাইসেন্স বন্ধ করা, উল্টোপথে গাড়িচলাল কঠোরহস্তে দমন করা, রাস্তার পর্যাপ্ত সম্প্রসারণ, সংস্করণ করা এবং ঘন ঘন রাস্তা মেরামত বন্ধ করা, রাস্তাগুলোকে কমপক্ষে ৩/৪ লেন বিশিষ্ট করা এবং অবকাঠামো নির্মাণ করা, রাস্তা সংস্কারে বাজেট এবং ইনভেস্টমেন্ট বৃদ্ধি করা।The World Bank report “Delivering Road Safety in Bangladesh”, published in February 2020, বলেছে – দেশের রাস্তার দুর্ঘটনা কমাতে আগামী দুই দশকে বাংলাদেশকে ৭.৮ বিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করা জরুরী। তারা আরও বলেছে বাংলাদেশে রাস্তায় দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হলো যুগ যুগ ধরে রাস্তার উন্নতি, সেফটি ও মেরামতে অপর্যাপ্ত ইনভেস্টমেন্ট। বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনার হার উন্নত দেশের তুলনায় ৫ গুন্ এবং এভারেজ আয়ের দেশের তুলনায় দ্বিগুন। শিশু এবং শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশী দুর্ঘটনায় পতিত হয়।
বাংলাদেশ যেহেতু উন্নয়নের মহাসড়কে দৌড়াচ্ছে, চলুন, একটু করে দেখে নেওয়া যাক এশিয়া এবং ইউরোপে লাখ প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের পরিসংখ্যান। প্রতি এক লক্ষ মানুষের মধ্যে জাপানে ২.৩৭ জন, সিঙ্গাপুরে ২.৮৭ জন লোক নিহত হয়, এবং ইউরোপের দেশ সমূহে এই নিহতের পরিমান ৪-৫ জনের মধ্যে। অন্য দিকে ঠিক একই সংখ্যক লোকের মধ্যে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় ১৪.৪৩।এই সংখ্যাটি অনেকগুন বেশী। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে শুধুমাত্র সরকার একা নয়, জনগণকেও তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
নটরডেম কলেজের ছাত্র নাঈম হাসানের সড়ক দুর্ঘটনায় অকালমৃত্যু, আমাদের দেশের সড়ক দুর্ঘটনার এক ভয়ালচিত্র জনসম্মুখে আবারো উম্মোচিত করে দিয়েছে। বার বার সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্র-শিক্ষক, পেশাজীবী, শ্রমজীবী থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশার লোকজন প্রতিনিয়তই নিহত হচ্ছে আমাদের অজান্তে। এই হতাহতের খবর খুব একটা আমরা রাখিনা যদিনা তারা আমাদের খুব কাছের কেউ হয়।স্ত্রী প্রতীক্ষা আর উৎকণ্ঠায় প্রহর গুনতে থাকে তার প্রানপ্রিয় স্বামীর নিরাপদে ঘরে ফেরার, মা তার ছেলে/মেয়ে বাসায় না পৌঁছা পর্যন্ত চরম উদ্বিগ্ন থাকেন, চিন্তা করেন যারপরনাই যে তার প্রিয় ছেলেটি নিরাপদে বাসায় ফিরতে পারবে কি আজ? যেমনটি ছিলেন নাঈমের মা। নাঈমের মা হলেন আরও অন্যান্য মায়েরই একটি প্রতিচ্ছবি।
একটি দুর্ঘটনা একটি পরিবারকে পঙ্গু করে দেয়া,
একটি দুর্ঘটনা একটি অধ্যায়ের অনাকাক্ষিত পরিসমাপ্তি,
একটি দুর্ঘটনা একটি স্বপ্নের গোড়াতেই নিঃশেষ হওয়া
একটি দুর্ঘটনা একটি ফুলের অঙ্কুরেই বিনষ্ট হওয়া,
একটি দুর্ঘটনা সারাজীবন বয়ে চলা ক্ষত,
একটি দুর্ঘটনা সারাজীবনের কান্না,
তাইতো আজ সবার মুখে মুখে একই ধ্বনি -“চাই, নিরাপদে বাড়ি ফেরার গ্যারান্টি”।
লেখকঃ ব্যারিস্টার ওয়াহিদ মুহাম্মাদ মাহবুব, সলিসিটর, ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস