এক্সট্রা টাইমে সমঝোতা : ঐতিহাসিক চুক্তিতে উপনীত কপ-২১

Spread the love

চুক্তির খসড়া উপস্থাপনকালে (ডান থেকে) ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লরেন্ট ফ্যাবিয়াস, প্রধানমন্ত্রী ফ্রাসোয়া ওলাঁদ এবং জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন
চুক্তির খসড়া উপস্থাপনকালে (ডান থেকে) ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লরেন্ট ফ্যাবিয়াস, প্রধানমন্ত্রী ফ্রাসোয়া ওলাঁদ এবং জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন

বাংলা সংলাপ ডেস্ক
বিশ্বব্যাপী উষ্ণায়নের লাগাম টানতে কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ৩০ নভেম্বর শুরু হয়েছিল জলবায়ু সম্মেলন। এটি ছিল জাতিসংঘের আয়োজনে কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজ এর ২১তম অধিবেশন, যা কপ২১ নামে পরিচিত। পূর্ব নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী শুক্রবার এ সম্মেলন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কাঙ্খিত চুক্তির দেখা না পাওয়ায় সম্মেলন গড়ায় অতিরিক্ত দিনে।
অবশেষে শনিবার বিশ্ববাসীর জন্য সুখবর নিয়ে আসে প্যারিস। দুই সপ্তাহ ধরে আলোচনা শেষে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যরেন্ট ফাবিউস আজ সকালে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী প্রায় দুই’শ দেশের প্রতিনিধিদের সামনে চুক্তির খসড়া উপস্থাপন করেন।
চুক্তির মূল লক্ষ্য বৈষ্ণিক উষ্ণতা বৃদ্ধির হার ২ ডিগ্রির মধ্যে বেধে রাখা। উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তার জন্য ধনী দেশগুলোকে ২০২০ সালের পর থেকে প্রতিবছর ১০ হাজার কোটি ডলার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে চুক্তিতে। এছাড়াও জীবাষ্ম জ্বালানী নির্ভর দেশগুলো গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে প্রতিশ্রুতি ঠিকমত পালন হচ্ছে কি না পাঁচ বছর অন্তর তা পর্যালোচনার বিধান রাখা হয়েছে চুক্তির খসড়ায়।
খসড়া উপস্থাপনকালে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফাবিউস বলেন, চুক্তির চূড়ান্ত খসড়া ন্যায়সঙ্গত এবং আইনি বাধ্যবাধকতামূলক।আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এটি উচ্চাভিলাষী তবে ভারসাম্যপূর্ণ চুক্তি। এসময় তিনি খসড়া সমর্থনে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান।
চুক্তির খসড়া অনুমোদন হলে তা ‘ইতিহাসের একটি সন্ধিক্ষণ’ হবে বলে মনে করছেন মধ্যস্ততাকারীরা। এটা হলে দুই দশকেরও বেশি সময় পর এই প্রথম বিশ্বের ধনী ও দরিদ্র দেশগুলো গ্রিন হাউজ গ্যাস কমানোর অভিন্ন লক্ষ্য এবং দুই শতকের জীবাশ্ম জ্বালানির আধিপত্যের অবসান ঘটবে।


Spread the love

Leave a Reply