এক ম্যাচ হাতে রেখেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ ভারতের
প্রথম টি-টোয়েন্টির পর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও প্রায় একইভাবে আগে ব্যাট করে বড় স্কোর গড়ল ভারত। আর এবারও রান তাড়া করতে নেমে ওপেনারদের ভালো শুরুর পরও তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। অ্যাডিলেডের পর মেলবোর্নেও হেরে তাই ভারতের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খোয়াল স্বাগতিকরা।
শুক্রবার মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়াকে ২৭ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ২-০ তে সিরিজ নিশ্চিত করল ভারত। আর টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ওয়ানডে সিরিজ হারের ক্ষতে কিছুটা সান্ত্বনার প্রলেপও দিল দল মহেন্দ্র সিং ধোনির দল।
প্রথম টি-টোয়েন্টির মতো শুক্রবারও নিজেদের ইনিংসের প্রথম ১০ ওভার পর্যন্ত ম্যাচে ভালোমতোই ছুটল অস্ট্রেলিয়া। ১৮৪ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও শন মার্শ মিলে ৯ ওভারেই ৮৯ রান তুলে ফেলেছিলেন। কিন্তু ৭ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে মার্শের (২৩) বিদায়ে ভাঙে ৯৪ রানের উদ্বোধনী জুটি। এর একটু পর ক্রিস লিন ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও সাজঘরে ফেরেন। দুজনই ধোনির স্টাম্পিংয়ের শিকার হন।
তখনও অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার আশার আলো হয়ে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন ফিঞ্চ। কিন্তু দলীয় ১২১ রানে শেন ওয়াটসন ও ১২৪ রানে ফিঞ্চ আউট হয়ে গেলে অস্ট্রেলিয়াও ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে। ফিঞ্চ ৪৮ বলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৭৪ রান করেন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৭ করতে পারে অস্ট্রেলিয়া। বিনা উইকেটে ৯৪ রান তোলার পর ৮ উইকেটে ১৫৭, অর্থাৎ ৬৩ রানেই নেই অস্ট্রেলিয়ার ৮ উইকেট! ভারতের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন রবীন্দ্র জাদেজা ও জসপ্রীত বুমরা।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভারতকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান। দুজন মিলে ১০ ওভারেই স্কোরবোর্ডে ৮৬ রান জমা করেন। ১১তম ওভারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বলে ধাওয়ানের বিদায়ে ভাঙে ৯৭ রানের উদ্বোধনী জুটি। ৩২ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪২ রান করেন ধাওয়ান।
এরপর দ্বিতীয় উইকেটে রোহিত ও বিরাট কোহলি মিলে ৩০ বলে ৪৬ রানের আরেকটি ভালো জুটি গড়েন। রোহিত রানআউটে কাটা পড়ার আগে ৬০ রান করেন। তার ৪৭ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৩২টি ছক্কার মার। আর কোহলি সিরিজে টানা দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নিয়ে শেষ পর্যন্ত ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন। তার ৩৩ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও একটি ছক্কার মার। অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ৯ বলে ২টি চারের সাহায্যে করেন ১৪ রান।
ওপরের দিকের তিন ব্যাটসম্যানের দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিংয়ের পর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং ভারতকে দারুণ এক জয়ই এনে দিল। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ফিফটি করে টানা দ্বিতীয়বার ম্যাচসেরাও হয়েছেন কোহলি।