এবার যমুনা ফিউচার পার্কে জঙ্গি হামলার ঘোষণা

Spread the love

061432-jomonaরাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় টুইট বার্তায় হামলার ঘোষণা দিয়ে হত্যাযজ্ঞের পর এবার অন্য এক টুইট বার্তায় কুড়িলে অবস্থিত দেশের অন্যতম বড় মার্কেট যমুনা ফিউচার পার্কে হামলার হুমকি দিয়ে একটি টু্ইট প্রকাশ করা হয়েছে। টুইটটি প্রকাশ করেছেন কামিল আহমেদ নামে এক ব্যবহারকারী।

প্রকাশিত টুইটে বলা হয়— আক্রমণের পরবর্তী লক্ষ্য যমুনা ফিউচার পার্ক।

পরে মন্তব্যের ঘরে ‘কেন বাংলাদেশকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে’ এক ব্যবহারকারীর প্রশ্নের জবাবে জানানো হয়, অমুসলিমদের হাত থেকে ইসলামকে রক্ষার স্বার্থেই এসব পরিকল্পনা এবং তারা শুধুমাত্র তাদের কর্তব্যটুকুই করছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একই ব্যবহারকারীর অভিন্ন বার্তা সম্বলিত টুইটের দু’টি স্ক্রিনশট পাওয়া যায়। খুঁজে পাওয়া স্ক্রিনশট দু’টিতে সময়ের ভিন্নতা রয়েছে।

একটি স্ক্রিনশটে রবিবার সকাল ১১টা ৪৯ মিনিট ও অপরটিতে সোমবার রাত ১২টা ৪৯ মিনিটে একই বার্তা দিয়ে এই অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করা হয়েছে।

এরপর থেকেই টুইটারে কামিল আহমেদকে উদ্দেশ করে জবাব দিতে থাকেন দেশে বিদেশি অবস্থানকারী টুইটার ব্যবহারকারীরা।

হুমকিদাতা কামিল আহমেদের অ্যাকাউন্টটি পরে নিষ্ক্রিয় পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে ২ পুলিশ সদস্য,১৭ বিদেশি নাগরিক ও তিন বাংলাদেশি নিহত হন।

পরে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ছয় জঙ্গি নিহত হয় বলে শনিবার সেনাসদরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

jamuna-future-park-dhaka-bangladesh-january-jan-largest-shopping-mall-south-asia-also-53528487অভিযানে জীবিত উদ্ধার করা হয় তিন বিদেশি নাগরিকসহ ১৩ জিম্মিকে। আটক করা হয় এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে। নিহতদের মধ্যে নয়জন ইতালির,সাতজন জাপানি ও একজন ভারতের নাগরিক। বাকি তিনজন বাংলাদেশি,যাদের মধ্যে একজনের যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ছিল। নিহত সাত জাপানির মধ্যে ছয়জনই মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

আনসার আল ইসলাম বিডি নামের ওই টুইট অ্যাকাউন্ট থেকে শুক্রবার সকাল ১১টা ২ মিনিটে হামলা সম্পর্কে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের ডিপ্লোম্যাটিক জোনে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় জিম্মি অপারেশন করতে যাচ্ছে আনসার আল ইসলাম ক্রুসেডার ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে। তবে মধ্যরাতে এই টুইট অ্যাকাউন্টটি আর সক্রিয় দেখা যায়নি।’

এদিকে গত রাত ১টা ৪৩ মিনিটে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গ্রুপ আইসিস প্রথম হামলার দায় স্বীকার করে। ওই সময় এ সাইটের কর্ণধার রিটা কার্টেজ একাধিক টুইট বার্তায় বলেন, ‘অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে ঢাকা এমবাসি-পাড়ার এক রেস্টুরেন্টে আইএসের হামলায়। আর যারা জিম্মি রয়েছে তাদের মধ্যে বিদেশি দূতাবাসের দুজন অ্যাম্বাসাডরও রয়েছেন।’ এদিকে সকালে টুইটারে ঘোষণা দিয়ে এ রকম হামলা হওয়ার পর পুলিশ বিভাগের অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। কারণ ইন্টারনেট নজরদারির জন্য সরকারের একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থাসহ সরকারের বেশ কিছু গোয়েন্দা সংস্থা সার্বক্ষণিক কাজ করে। কিন্তু এ রকম একটি ঘোষণা দেওয়ার পরও তা কারো চোখে পড়েনি, তা বিস্ময়ের।

উল্লেখ্য, আর আগে এক টুইট বার্তায় ১ জুলাই আনসারুল্লাহ বাংলা টিম রাজধানী ঢাকায় একটি অপারেশন করার ঘোষণা দিয়েছিল। হামলাকারীরা বিদেশিদের জিম্মি করবে, এটাও জানায়। এর পরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা ছিল না, এটি দুঃখজনক। এ ধরনের হুমকিকে আমলে না আনা ভুল ছিল বলেও তাঁদের মত।

বাংলাদেশে এবিটি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আইএসকে তাদের আদর্শ মনে করে। এ জন্য তারা নিজেদের আইএসের বাংলাদেশ শাখা হিসেবেও প্রচার করে থাকে। অন্যদিকে আইএসের নিজস্ব প্রচারমাধ্যম আমাক নিউজ থেকেও এ হামলার দায় স্বীকার করা হয়েছে।


Spread the love

Leave a Reply