ওবামা-মিশেলের পথে হ্যারি-মেগান
বাংলা সংলাপ ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগান মারকেল আকস্মিকভাবে রাজকীয় দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। একইসঙ্গে যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি উত্তর আমেরিকায় বসবাসের কথাও জানিয়েছেন ওই রাজদম্পতি। বিরল এই ঘোষণা বিশ্বে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। আর এই ঘোষণায় বড় ধাক্কা খেয়েছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। বিষয়টি কার্যকরভাবে সমাধানের জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন রানিসহ রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যরা।
হ্যারি ও মেগান কেন রাজপরিবারের আরাম–আয়েশি জীবন ছেড়ে যাচ্ছেন, এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই উঁকি দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামার পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন এই রাজদম্পতি। টেলিভিশন শো, তথ্যচিত্র, পডকাস্ট ও সিনেমা তৈরি করতে হায়ার গ্রাউন্ড নামের একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন ওবামা দম্পতি। স্বাধীনভাবে জীবনযাপন ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতার জন্য মেগান–হ্যারি এই রকমই একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চালু করতে পারেন। ফ্যাশন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার চিন্তাভাবনাও আছে তাঁদের। ব্র্যান্ড বিশেষজ্ঞ ও হলিউড পর্যবেক্ষকেরা এমনটাই বলছেন।
গত বুধবার রাজকীয় দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণার পর মেগান কানাডায় চলে গেছেন তাঁর ছেলে আর্চির সঙ্গে মিলিত হতে। মেগানের এক মুখপাত্র এই তথ্য জানিয়েছেন। হলিউডের সাবেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেগানের বাবা ও মা বসবাস করেন কানাডায়। হ্যারি ও মেগানের রাজকীয় পদবি হচ্ছে ডিউক অব সাসেক্স ও ডাচেস অব সাসেক্স। রাজকীয় দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর হ্যারি ও মেগান কী করতে পারেন, সেই বিষয়ে ট্রু রয়েলিটি টিভি প্রধান সম্পাদক নিক বুলেন বলেছেন, ‘ব্র্যান্ড সাক্সেস হচ্ছে বৈশ্বিক একটি ব্র্যান্ড। এটা তাঁরা কাজে লাগাতে পারেন। পাবলিক স্পিকিং (বক্তৃতা) থেকে শুরু করে জীবনযাপনবিষয়ক ব্লগ, জামাকাপড়ের ব্যবসা অথবা নিজেদের ব্র্যান্ড হাজির করতে পারেন তাঁরা।’
হ্যারি ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত টিভি তারকা অপরাহ উইনফ্রের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন। হলিউডের বিখ্যাত জনসংযোগ কৌশলবিদ হাওয়ার্ড ব্র্যাগম্যান বলেছেন, ‘কীভাবে অর্থ আয় করে সর্বোত্তমভাবে জীবনধারণ করা যায়, তার সেরা উদাহরণ হচ্ছেন ওবামা। তাঁরা ওবামার দেখানোর পথেই হাঁটতে পারেন। যদি তাঁরা তথ্যচিত্র নির্মাণ করলে সেটার চিত্রনাট্য লিখতে পারেন হ্যারি।’
এদিকে, লন্ডনের মাদাম তুসোর মোমের জাদুঘর থেকে প্রিন্স হ্যারি ও মেগানের মূর্তি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ব্রিটিশ রাজপরিবার সূত্র এ কথা জানা গেছে।