কমনওয়েলথভূক্ত দেশসমূহে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে : রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্ক:

ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ বলেছেন, বিভিন্ন দেশে সংসদ সদস্যদেরকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে কমনওয়েলথ দেশসমূহে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ লক্ষ্যে কমনওয়েলথের আদর্শ ও উদ্দেশ্য সদস্য দেশসমূহে ছড়িয়ে দেয়ারও আহবান জানান কমনওয়েলথ প্রধান।

কমনওয়েলথ দিবস উপলক্ষে সোমবার সিপিএ সদর দপ্তর ওয়েস্টমিনিস্টার এ্যাবেতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে সিপিএ চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীরর সাথে মতবিনিময়কালে ব্রিটেনের রানী এ কথা বলেন।

প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ১৪ মার্চ লন্ডনে যথাযথ মর্যাদায় কমনওয়েলথ দিবস-২০১৬ উদযাপন করা হয়। একই সাথে সিপিএ এর বিভিন্ন অঞ্চল ও শাখাসমূহে দিবসটি উদযাপিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে কমনওয়েলথ প্রধান ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ছাড়াও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন অংশগ্রহণ করেন।

একটি সার্বিক কমনওয়েলথ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ব্রিটেনের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী, কমনওয়েলথ হাইকমিশনারবৃন্দ, কমনওয়েলথ মহাসচিব, কমনওয়েলথভুক্ত দেশ থেকে আগত অতিথিবৃন্দ এবং উচ্চ পদস্থ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।

তরুণ প্রজন্মের জন্য আয়োজিত সিপিএ’র অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী তরুণরা যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট ভবন পরিদর্শন করেন। এ সময় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী কমনওয়েলথ পেট্রন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ-এর সাথে মতবিনিময় করেন।

মতবিনিময়কালে বলেন, কমনওয়েলথ দিবস উপলক্ষে গত ২ মার্চ বাংলাদেশের সংসদ ভবনে ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৫০ জন শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে সংসদীয় গণতন্ত্র বিষয়ে সিপিএ রোড শো কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের তিনজন সংসদ সদস্য সংসদীয় গণতন্ত্রের বিভিন্ন দিক এবং কমনওয়েলথের আদর্শ ও উদ্দেশ্য নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবন পরিদর্শন করেন এবং একই দিনে একটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।

স্পিকার বলেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে এবং এর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে সংসদীয় গণতন্ত্র সম্পর্কে অবহিত ও শিক্ষিত করে গড়ে তোলা হবে। কমনওয়েলথ প্রধান বাংলাদেশে পালিত এসব কর্মসূচির ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং কমনওয়েলথ-এর বিভিন্ন অঞ্চলে এ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার আহবান জানান।

দিবসটি পালন উপলক্ষে হাউজ অব কমন্সে কমনওয়েলথ এবং কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশনের ভূমিকা শীর্ষক এক বিতর্কের আয়োজন করা হয়েছে। একই দিনে টেকসই জ্বালানি ও উন্নয়ন শীর্ষক আন্তর্জাতিক পার্লামেন্টারি কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়েছে।


Spread the love

Leave a Reply