কাঁদলেন আনা চ্যাপম্যান, রাশিয়া মাতোয়ারা
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃখুশির জোয়ারে ভাসছে রাশিয়া। কি হচ্ছে না সেখানে তা বড় কথা নয়। তবে বড় কথা হচ্ছে না টা কি! রাস্তায় রাস্তায় পার্টি। বারগুলোতে রঙিন আলো জ্বলছে আর নিভছে। তার মাঝে উন্মাতাল নাচে মত্ত যুবক যুবতীরা। এক এক নতুন অভিজ্ঞতা রাশিয়ার জন্য।তারা বিশ্বকাপ ফুটবলে অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়ে যাচ্ছে আর রাশিয়া মাতবে না তাই কি হয়! এই আনন্দে মাততে তাইতো নভোগোরদ স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়েছিলেন রাশিয়ার এ সময়ের আলোচিত, গ্লামারাস গোয়েন্দা যুবতী আনা চ্যাপম্যান। রাশিয়া যখন স্পেনের বিরুদ্ধে বিজয়ী হলো তখন তিনি ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলেন। চিৎকার করে মাঠে কেঁদেছেন। না, কষ্টে নয়। এ কান্না আনন্দের। নিজের দেশকে এতটা উচ্চতায় দেখতে পেয়ে তিনি আনন্দে কেঁদে ফেলেছেন। অন্য দর্শকদের মতো তিনিও উদযাপন করেছেন রাশিয়ার এ অবিস্মরণীয় বিজয়। ইংলিশ খেলোয়ারদের স্ত্রী ও গার্লফ্রেন্ডরা যতটা মাতিয়ে রাখেন স্টেডিয়াম, রোববারের খেলায় রাশিয়ান সুন্দরীরাও যেন সেই একই রূপ ধরেছিলেন। তারাও তাদের প্রিয় দেশকে বিজয়ী দেখতে ছুটে গিয়েছিলেন মাঠে। খেলার আগে ফল কি হবে তার একটি পূর্বাভাস দিয়েছিলেন সাইবেরিয়ার এক ওঝা। তা সত্যে পরিণত হওয়ায় তিনি তো প্রশংসায় ভাসছেন। খেলায় রাশিয়ান গোলকিপার ইগোর আকিনফিভ তো হিরো হয়ে উঠেছেন মুহূর্তেই। তিনি দুটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেয়ায় তাকে সামাজিক মিডিয়ায় আখ্যায়িত করা হচ্ছে ‘ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক’ হিসেবে। ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে তাকে দেখানো হচ্ছে অক্টোপাসের মতো সবদিকে তার হাত। ফলে ওই হাতকে ফাঁকি দিয়ে কোনো বলের জালে প্রবেশ করার সুযোগ নেই। অন্য একটি ছবিতে তাকে ঈশ্বরের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। কিন্তু রাশিয়া যেদিন এত বড় একটি জয় পেল সেদিন ক্রেমলিনে এক রহস্য দেখা গিয়েছে। এই খেলায় উপস্থিত ছিলেন না প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। ঘোষণা দেয়া হয়েছে, ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে রাশিয়া যে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে সেই খেলায়ও তিনি উপস্থিত থাকবেন না। কিন্তু কেন? এর উত্তর মেলা ভার। ওদিকে রাশিয়া বিজয়ী হওয়ায় রোববারের রাত রাশিয়ার রাস্তায় রাস্তায় গাড়ির হর্নে কান ঝালাপালা হয়েছে। সরকার পেট্রোলের দাম বাড়িয়েছে এবং একই সঙ্গে অবসরে যাওয়ার বয়স বাড়িয়েছে সম্প্রতি। তা নিয়ে এদিন রাশিয়ানদের কোনো মাথাব্যথাই ছিল না। আনা চ্যাপম্যান তো এখন শুধু একজন গোয়েন্দা হিসেবেই পরিচিত নন। তিনি রীতিমতো একজন সেলিব্রেটি হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে তিনি একজন ব্লগার হিসেবে কাজ করেন। তার বয়স এখন ৩৬ বছর। ভরা যৌবন তার। অনেক আলোচনা তাকে ঘিরে। তবে সেসব পিছনে ফেলে তিনি দেশের বিজয়ে খেলোয়ারদের ও কোচদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি ব্লগ লেখেন পুতিনের পক্ষ নিয়ে। একজন টিভি উপস্থাপনাকারীও তিনি। তার ভাষায়, খেলা দেখে ভীষণ জোরে চিৎকার করি নি। তবে জীবনে প্রথমবারের মতো আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম। আনন্দে কেঁদেছি।