কেলেঙ্কারির বিষয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছিলেন টিউলিপ
ডেস্ক রিপোর্টঃ মঙ্গলবার স্যার লরি ম্যাগনাস বলেছেন, এটা দুঃখজনক যে মিস সিদ্দিক বাংলাদেশি সাবেক শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে তার পরিবারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়ে সুনামের ঝুঁকি সম্পর্কে যথেষ্ট সতর্ক ছিলেন না। তিনি আরও বলেছেন, যে দুটি প্রোপার্টি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তার ডকুমেন্ট পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়। এই ঘটনাটি ঘটেছে কমপক্ষে ২০ বছর আগে। টিউলিপ সিদ্দিক ও তার বোনকে ২০০৪ সালে এবং ২০০৯ সালে ওই দুটি ফ্ল্যাট উপহার দেয়া হয়েছে। ৪২ বছর বয়সী টিউলিপ উল্লেখযোগ্য ব্যাকগ্রাউন্ড তথ্য সরবরাহ করেছেন। তাতে দেখিয়েছেন যে, তার তহবিল ব্যবস্থাপনা নিয়ম অনুযায়ী হয়েছে। তবে এটা ‘কনক্লুসিভ’ ছিল না। এসব লেনদেনের অভিযোগের গুরুত্বের প্রেক্ষিতে এটা দুঃখজনক যে, কনক্লুসিভ তথ্যগুলো পাওয়া যাচ্ছে না। স্যার লরি আরও বলেন, মিস সিদ্দিক অজান্তেই কিংস ক্রসে তাকে একটি ফ্ল্যাট উপহার হিসেবে দিয়েছে, সেই দাতার পরিচয় সম্পর্কে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছেন ২০২২ সালের জিজ্ঞাসাবাদে।
‘কনজারভেটিভদের মতোই খারাপ লেবার সরকার’
টিউলিপ সিদ্দিককে নিয়ে কিয়ের স্টারমার দু’জন মন্ত্রী হারালেন। এক দশক আগে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ স্বীকার করে নেয়ার পর গত মাসে পদত্যাগ করেন পরিবহনমন্ত্রী লুইস হাই। তারপর দ্বিতীয় মন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করলেন টিউলিপ। ক্ষমতায় আসার প্রথম ৬ মাসের মধ্যেই অনেক স্ক্যান্ডাল বা কেলেঙ্কারি জেঁকে ধরেছে লেবার পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকারকে। এর ফলে স্যার কিয়ের স্টারমার ঐতিহাসিকভাবে একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অজনপ্রিয়তার নিম্নতম স্থানে পৌঁছে গেছেন। প্রধানমন্ত্রীত্বের ১০০ দিনের আগেই তিনি বরখাস্ত করেছেন নিজের চিফ অব স্টাফ সু গ্রে’কে। লেবার দলের দাতা লর্ড আলির কাছ থেকে অবাধে অর্থ এবং পোশাক নেয়ার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। এর পরিমাণ হাজার হাজার পাউন্ড। এমন অবস্থায় রিফর্ম ইউকে এবং লিবারেল ডেমোক্রেটরা লেবার পার্টিকে বিগত কনজারভেটিভ সরকারের মতোই খারাপ হিসেবে অভিহিত করেছে। রিফর্মের একজন মুখপাত্র বলেছেন, দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের মধ্যেই পদত্যাগ করতে হয়েছে কিয়ের স্টারমারের দুর্নীতি বিরোধী মন্ত্রীকে। লিবারেল ডেমোক্রেট দলের কেবিনেট অফিসের মুখপাত্র সরাহ ওলনি বলেন, কনজারভেটিভ দলের বছরের পর বছর ধরে কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতির পর জনগণ এই সরকারের কাছ থেকে ভাল কিছু আশা করেছিল। কনজারভেটিভ দলের কেমি ব্যাডেনচ বলেন, সপ্তাহান্তে এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে- দুর্নীতি বিরোধী মন্ত্রীর পদ পুরোপুরি অক্ষম হয়ে পড়েছে। তবু স্যার কিয়ের স্টারমার তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে সুরক্ষিত রাখতে বিচলিত হন এবং বিলম্ব করেন। এখন পর্যন্ত টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে একটি ফৌজদারি মামলা হয়েছে। এতে টিউলিপের পদত্যাগে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আসলে দুর্বল নেতৃত্ব থেকে তৈরি হন একজন দুর্বল প্রধানমন্ত্রী।