ক্লাব বিশ্বকাপে বার্সার হ্যাট্রিক
বাংলা সংলাপ ডেস্ক
বার্সেলোনার চ্যাম্পিয়নশিপটা অনেকটা অনুমিতই ছিল। বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা। তবে, শঙ্কা ছিল মেসি-নেইমার না থাকলে কী হবে। হোঁচট খেতে হয় কি না; কিন্তু মেসি আর নেইমার দু’জনই ফিরলেন ফাইনালে। তাও একেবারে রাজকীয় হালে। আর্জেন্টাইন ক্লাব রিভারপ্লেটের সব প্রতিরোধ ভেঙ্গে তছনছ করে দিয়ে ৩-০ গোলে ফাইনাল জিতে নিল বার্সেলোনা।
জোড়া গোল করলেন লুইস সুয়ারেজ আর বাকি গোলটি এসেছে লিওনেল মেসির পা থেকে। একই সঙ্গে ক্লাব বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করলো বার্সেলোনা। এর আগে ২০১১ এবং ২০০৯ সালে ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল কাতালানরা।
জাপানের ইয়োকোহামা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই রিভারপ্লেটের গোলমুখে একের পর আক্রমণ করতে থাকে বার্সেলোনা। যার ফলে ৩৬তম মিনিটেই গোলের দেখা পেয়ে গেলো স্পানিশ জায়ান্টরা। নেইমারের হেড থেকে বল পেয়ে বাম পায়ের দুর্দান্ত এক শটে আর্জেন্টাইন ক্লাব রিভারপ্লেটের জালে বল জড়িয়ে দেন লিওনেল মেসি। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় বার্সা।
প্রথমার্ধ শেষ হলো ওই ১-০ গোলের ব্যবধানেই। দ্বিতীয়ার্ধের পর আরও দুরন্ত হয়ে ওঠে বার্সা। খেলা পুনরায় মাঠে গড়ানোর ৪ মিনিটের মাথাতেই গোল করে ব্যবধান দ্বিগুন করেন সুয়ারেজ।
দলের হয়ে তৃতীয় গোলটিও করেন সুয়ারেজ। খেলার ৬৮ মিনিটে নেইমারের ক্রস থেকে বক্সের বাম কোনে বল পেয়ে দারুন এক হেডে রিভারপ্লেটের জালে দ্বিতীয় বারের মত বল জড়িয়ে দিলেন সুয়ারেজ। ফাইনালেও হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুললেও বাকি ২২ মিনিটে আর সুয়ারেজকে গোল করতে দেয়নি রিভারপ্লেট।
শেষ দিকে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই অলআউট অ্যটাকে খেলেছিল রিভারপ্লেট। শেষ ১৫ মিনিট বলা যায় একচেটিয়া আক্রমণে উঠেছে তারা। তবে বার্সার রক্ষণবুহ্য ভেদ করে লক্ষে পৌছায়নি রিভারপ্লেটের বল।