ক্ষুব্ধ নিকোলা:প্রধানমন্ত্রীর নীরবতায় হতাশা

Spread the love

sturgenবাংলা সংলাপ ডেস্কঃক্ষোভে অগ্নিশর্মা স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জেন। তিনি বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, তার উচিত ব্রেক্সিট নিয়ে সমঝোতায় তার প্রতিশ্রুতি রাখতে। এক্ষেত্রে স্কটল্যান্ডকে সমঝোতা প্রক্রিয়ার ভিতর রাখতে হবে। যদি তা করা না হয় তাহলে বৃটেন ভেঙে যাবে।

এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন এক্সপ্রেস। নিকোলা স্টার্জেন ব্রেক্সিট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতায় হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার কথা যথার্থই বলেছেন। বৃটেনকে স্বাধীন করার গণভোট ব্রেক্সিটের সময় স্কটল্যান্ডকে বার বার বলা হয়েছিল তারা যুক্তরাজ্যে সমান অংশীদার।

এ বিষয়ে নিকোলা স্টার্জেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমার বার্তা হলো এখন এটা প্রমাণ করতে হবে। একই সঙ্গে এটা দেখাতে হবে যে, স্কটল্যান্ডের দাবির বিষয়টি যুক্তরাজ্য বিবেটনা করে। আমাদের স্বার্থ রক্ষা করা হবে। যদি তা না করা হয় তাহলে আমি মনে করি ভিন্ন পন্থা অনুসরণের সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার আছে স্কটল্যান্ডের। নিকোলা স্টার্জেন স্কটল্যান্ডের ক্ষমতাসীন স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (এসএনপি)র প্রধান।

তিনি বার বার বলে চলেছেন যে, বৃটেন লিসবন চুক্তির ৫০ নম্বর অনুচ্ছেদ সক্রিয় করার পরও ইউরোপীয় ইউনিয়নে একক বাজার সুবিধা বজায় রাখবে স্কটল্যান্ড। একই সঙ্গে তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বলেছেন, ব্রেক্সিট পরবর্তী দাবিগুলো যদি স্কটল্যান্ডের জন্য পূরণ না হয় তাহলে ২০২০ সালের আগেই তারা স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার জন্য দ্বিতীয় গণভোট দেবেন।

একই দাবিতে জুনে সেখানে একটি ভোট হয়। তাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে থাকার পক্ষেই রায় দেন শককরা ৬২ ভাগ স্কটিশ। এক্ষেত্রে তারা বৃটেন ত্যাগেরও পক্ষে। বৃটেনের ব্রেক্সিট গণভোটের সময় বলা হয়েছিল, বৃটেনে সমান অংশীদারিত্ব পাবে স্কটল্যান্ড। এ বিষয়ে নিকোলা স্টার্জেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর অল্প কিছুদিন আগে এডিনবার্গে এসেছেন তেরেসা মে।

তিনি আমাকে ও স্কটল্যান্ডকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ব্রেক্সিট নিয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রক্রিয়ায় আমাদেরকে রাখা হবে। আমাদের দাবির কথা শোনা হবে। এখন এটা বলা উচিত যে, সেই প্রতিশ্রুতির প্রতি সম্মান দেখানো হয় নি এখনও। আমি আশা করি আগামী দিনগুলোতে সেই প্রতিশ্রুতির প্রতি সম্মান দেখানো হবে। আমরা আমাদের প্রস্তাব সামনে তুলে ধররবো। আশা করবো বৃটিশ সরকার তা শুনতে প্রস্তুত থাকবে।

আমাদের ওই প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে স্কটল্যান্ডকে ইউরোপে একক বাজার সুবিধা দিতে হবে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক থাকবে। আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করতে বা সেখানকার একক বাজার সুবিধা ছাড়তে চাই না। কারণ, স্কটল্যান্ড ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষেই ভোট দিয়েছে।


Spread the love

Leave a Reply