খড়ায় আক্রান্ত এক চতুর্থাংশ ভারতীয় : সরকারকে আদালতের ভর্ৎসনা
বাংলা সংলাপ ডেস্ক:
ভয়াবহ দূর্যোগপূর্ণ সময় পার করছে ভারত। সেখানে খড়া পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারন করেছে। বিপর্যয় মোকাবেলায় সরকারের বিরুদ্ধে ব্যার্থতার অভিযোগ উঠেছে। রাষ্ট্রীয় হিসেব মতে, এই মুহূর্তে দেশটির এক চতুর্থাংশ মানুষ খড়াকবলিত। পরিস্থিতি মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ সরকারকে এ নিয়ে ভর্ৎসনা করেছে দেশটির শীর্ষ আদালত।
বুধবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল সুপ্রিম কোর্টকে জানান, দেশের মোট ২৫৬টি জেলা এখন খরার কবলে – যেখানে প্রায় ৩৩ কোটি মানুষ বা প্রতি চারজন ভারতীয়র মধ্যে একজন বাস করেন। তবে খরাকবলিত মানুষের সংখ্যা আসলে আরও বেশি হতে পারে, কারণ হরিয়ানা বা বিহারের মতো রাজ্যে অনেক কম বৃষ্টি হলেও তারা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে খরা পরিস্থিতি ঘোষণা করেনি।
পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ আকার নিয়েছে মহারাষ্ট্রের লাটুর এলাকায়। দেশের অন্য প্রান্ত থেকে রেলওয়ে ট্যাঙ্কারে করে জল এনে ওই অঞ্চলে সরবরাহ করা হচ্ছে। পর পর দুবছর ধরে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম মৌসুমি বৃষ্টিপাত এবং তেলেঙ্গানা ও ওড়িষ্যার মতো রাজ্যে প্রবল তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
খরাকবলিত এলাকাগুলো থেকে ডিহাইড্রেশন এবং তাপপ্রবাহে বহু মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ বিপর্যয় সম্পর্কে রাজ্যগুলোকে আগে থেকে সতর্ক করতে ব্যর্থ হওয়ায় আদালত ওই ভর্ৎসনা করেছেন।
ভারতের একটি এনজিও সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে বলেছিল, গ্রামীণ এলাকায় একশো দিনের কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের যে ৩৮৫০০ কোটি রুপির বাজেট বরাদ্দ আছে তা এই খরাজনিত সঙ্কট মোকাবিলায় আদৌ যথেষ্ঠ নয়।
তবে মামলার শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকার আদালতকে জানিয়েছে, খরা-আক্রান্ত রাজ্যগুলো যাতে সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারে তার জন্য তাদের জরুরি ভিত্তিতে বাড়তি আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বিবিসির অপর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্বাঞ্চলের উড়িষ্যায় স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া দেশেজুড়ে গরমে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। গত বছর একই সময়ে খরাজনিত কারণে দেশটিতে অন্তত ২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।