গুজরাট দাঙ্গা : গুলবার্গ গণহত্যায় ১১ জনের যাবজ্জীবন

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্ক:

গুজরাট দাঙ্গার ১৪ বছর পর ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে ভারতের একটি আদালত। দোষী সাব্যস্ত বাকি ১২ জনকে সাত বছর করে ও একজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা অতুল বৈদ্যও রয়েছেন। শুক্রবার ভারতের একটি আদালতে এ সাজা ঘোষণা করা হয়।

২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি গুজরাট দাঙ্গার সময় আহমেদাবাদের চামানপুরার গুলবার্গ সোসাইটি নামের একটি মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় হামলা চালায় হিন্দুরা। ওই এলাকার বেশির ভাগ বাড়ি-ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়।

এহসান জাফরি নামে সাবেক এক কংগ্রেস সংসদ সদস্য সহ ৩৫ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়। ওই ঘটনায় আরো ৩১ জন নিখোঁজ হয়। ধারণা করা হয় তারাও আগুনে পুড়ে মারা গেছে। গুজরাট দাঙ্গায় মোট ৬৯ জনের মৃত্যু হয়। ওই গণহত্যার ওপর ভিত্তি করেই দীর্ঘ ১৪ বছর পর ১১ জনের যাবজ্জীবনের রায় দিয়েছে আদালত। দাঙ্গার সময় ১ হাজারের বেশি মুসলমান নিহত হয়েছে। সে সময় একটি ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয়া হলে ৬০ জন হিন্দু তীর্থযাত্রীও নিহত হয়।

এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ ৬৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান। গুজরাট দাঙ্গার সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন মোদি।

তবে, এই রায় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরি। তিনি বলেছেন, সমস্ত অভিযুক্তকেই যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া উচিত ছিল। তবে তার ছেলে তনভি জাফরি বলেছেন, এদিনের রায়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলেছে। কিন্তু কয়েকজন অভিযুক্ত কেন দোষী সাব্যস্ত হল না তা খতিয়ে দেখতে হবে। এই মামলায় অন্যান্য অভিযুক্তের খালাস পাওয়ার বিষয়টিকে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হবে বলেও জানান তিনি।


Spread the love

Leave a Reply