গৃহকর্মীকে নির্যাতনের দায়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত আটক

Spread the love

monirulবাংলা সংলাপ ডেস্কঃ গৃহকর্মীকে নির্যাতনের দায়ে ইথিওপিয়ায় বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রদূত মনিরুল ও তার স্ত্রী ফাহিমা প্রভাকে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটানে আটক করা হয়েছে। ম্যানহাটানের একটি ফেডারেল কোর্ট বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের এ কূটনীতিকের বিরুদ্ধে আটকাদেশ দেন।

মাসুদ পারভেজ রানা নামের এক বাংলাদেশি গৃহকর্মীর করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ওই দম্পতিকে আটক করা হয়েছে। আদালতের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতকে অগ্রাহ্য করে আসছিলেন এই দম্পতি। খবর রয়টার্সের।

মামলার বাদি রানার অভিযোগ, তাকে বিনা বেতনে ক্রীতদাসের মত কাজ করানো হত। ম্যানহাটানের জজ সিডনি স্টেইন বলেছেন, মনিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ফাহিমা প্রভা গত এক বছর ধরে আদালতে হাজিরা দিতে অস্বীকৃতিসহ নানাভাবে আইনের বরখেলাপ করে আসছিলেন। বিচারক বলেন, আসামিদের জন্য আদালত ১৫ মাস অপেক্ষা করেছে এবং তাদের বহু সুযোগ দেয়া হয়েছে। একই বিচারক জরিমানা নির্ধারণে আরেকটি শুনানি করতে পারেন বলে জানা গেছে।

এদিকে, আসামিদের অবস্থান জানতে না পারার কারণে তাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। আসামিরা তাদের আইনজীবী বদল করবেন কিনা তাও জানা যায়নি। কেননা তাদের আইনজীবী গত মার্চে এই মামলা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

জানাগেছে, নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশি নাগরিক রানাকে এই দম্পতি মাসে ৩ হাজার ডলারে নিযুক্ত করেছিলেন এবং তার ভিসা নবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

মামলার আবেদনে রানা বলেন, এক দেড় বছরে তাকে একটি টাকাও দেয়া হয়নি। তদুপরি তাকে দিয়ে প্রতিদিন ১৬/২০ ঘন্টা কাজ করানো হত। তাকে বাসায় আটকে রাখা হত এবং হত্যারও হুমকি দেয়া হয়েছিল।

মনিরুল ইসলাম আমেরিকায় বাংলাদেশি কনসাল জেনারেল ছিলেন। পরে তাকে মরক্কোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত করা হয়। চলতি বছর তাকে ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

রানার আইনজীবী এমিলি বলেছেন, তিনি তার মক্কেলের আর্থিক ক্ষতি ও মানসিক যাতনার ক্ষতিপূরণ চাইবেন। আসামিদের বিরুদ্ধে শাস্তি দাবি তো করবেনই।

রানার আইনজীবী আরও বলেন, সুখের কথা হল ওই দম্পতিকে তাদের হীন কাজের জন্য জবাবদিহিতার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। নিউ ইয়র্কের ডিষ্ট্রিক্ট কোর্টের এই মামলার নম্বর ১৪-০১৯৯৩।


Spread the love

Leave a Reply