চারদিকে শুধু মানুষের কর্তিত অঙ্গ- প্রত্যঙ্গ

Spread the love

222বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ চারদিকে ভয়াল চিত্র। পোড়া বাড়িঘর। শূন্য লোকালয়। এখানে ওখানে পড়ে আছে মানুষের কর্তিত অঙ্গ- প্রত্যঙ্গ। এই বীভৎসতা থেকে রেহাই পেতে প্রায় ৩ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিলেও রাখাইনে যারা রয়েছেন তাদের অবস্থা আরো করুণ। তারা পালিয়ে আছেন বিভিন্ন বন-জঙ্গল ও পাহাড়ে। তার ওপর সেনাবাহিনী তাদেরকে আলটিমেটাম দিয়েছে। রাখাইন ছাড়তে বলেছে। এরই মধ্যে সেনাবাহিনীর নৃশংসতায় ফাঁকা হয়ে গেছে রাখাইনের ১৫০ গ্রাম। এর মধ্যেই নতুন করে আরো শক্তিশালী অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে সেনাবাহিনী। মিডিয়ায় এমন সব খবর ছড়িয়ে পড়েছে। এসব খবর যাচাই করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, রাখাইনে সাংবাদিক প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। ফলে সাংবাদিকরা বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য ও নিজস্ব অনুসন্ধান মিলিয়ে রিপোর্ট করছেন। জাতিসংঘ সহ বিভিন্ন দেশ ও ব্যক্তি মিয়ানমারের কাছে রাখাইনে সাংবাদিক ও ত্রাণকর্মীদের প্রবেশের অধিকার দেয়ার দাবি জানিয়েছে জোরালোভাবে। কিন্তু তাতে সাড়া দিচ্ছে না সরকার। এর ফলে যেসব অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে তা সত্য বলেই মনে করা হচ্ছে। পালিয়ে আসা রাখাইনরা অভিযোগ করেছেন, হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ফেলছে সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ উগ্রবাদীরা। প্রমাণ মুছে দেয়ার জন্য এমনটা করা হচ্ছে। এমনকি জীবন্ত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন ভিডিও-ও ছড়িয়ে পড়েছে। মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি। এই দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন এমন একজন সাবেক রোহিঙ্গা নেতা বলেছেন, রাখাইনের তিন জেলায় কমপক্ষে ১৫০টি গ্রাম আছে। সেসব গ্রামে কোনো রোহিঙ্গা নেই। এরই মধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়া রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘ, আসিয়ান, ওআইসির প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে। এমন আহ্বান জানিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, রাখাইনে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দিতে হবে এবং সেখানে ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার সুযোগ দিতে হবে। জাতিসংঘ সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনও একই আহ্বান জানাচ্ছে। কিন্তু কোনো কিছুতেই কর্ণপাত করছে না মিয়ানমার। উল্টো তারা রাখাইন ছাড়তে রোহিঙ্গাদের সময় বেঁধে দিয়েছে বলে মিডিয়ার খবরে বলা হচ্ছে। বলা হয়েছে, মঙ্গলবারের মধ্যে রাখাইন ছাড়তে। বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন এমন অনেক রোহিঙ্গা দাবি করেছেন, সেনাবাহিনী যে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে তার প্রমাণ মুছে ফেলছে। তারা গুম করে দিচ্ছে লাশ। কখনো আগুনে পুড়িয়ে দিচ্ছে। কখনো মাটিতে পুঁতে রাখছে। নদীতে ভাসিয়ে দিচ্ছে। এরই মধ্যে নাফ নদী বা বঙ্গোপসাগর এলাকায় যেসব লাশ পাওয়া গেছে তার মধ্যে এমন লাশ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।111


Spread the love

Leave a Reply